অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুকে নিয়ে হঠাৎ হইচই! অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস দাবি তুলল, চন্দ্রবাবুকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে! লকডাউনের আগে দলের কাজে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন টিডিপি প্রধান। তারপর সেখানেই আটকে পড়েছিলেন তিনি। সোমবার হায়দরাবাদ থেকে সড়ক পথে অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে ফেরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরাট কনভয় অমরাবতীতে পৌঁছনোর পর কয়েকশ দলীয় সমর্থক তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পৌঁছে যান। সামাজিক দূরত্বের শর্ত শিকেয় ওঠে চন্দ্রবাবুর অভ্যর্থনা ঘিরে। ওই জমায়েতে অনেকের মাস্ক ছিল না বলেও অভিযোগ।
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির দলের শীর্ষ সারির নেতা গাডিকোটা শ্রীকান্ত রেড্ডি তীব্র সমালোচনা করেন চন্দ্রবাবুর। তিনি বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউন চলছে। সামাজিক দূরত্বের শর্ত সারা দেশে বাধ্যতামূলক। সেখানে একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিনা লোক জমায়েত করে অভ্যর্থনা নিচ্ছেন! এই সংকটের সময়ে এর চেয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ আর কিছুই হতে পারে না।
রেড্ডি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণে হায়দ্রাবাদ রেড জোন। চন্দ্রবাবু সেখান থেকে ফিরেছেন। তাই তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। তাঁর অভিযোগ, এই সময়েও টিডিপি সভাপতি শুধুই রাজনীতি করেছেন। হায়দাবাদে বসে জুম কলের মাধ্যমে রাজনৈতিক উস্কানি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিশাখাপলমে এলজি পলিমার কারখানায় গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়ে জুম কলে জগন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন চন্দ্রবাবু।
২০১৩ সালে আলিপিরিতে মাওবাদী তথা জনযুদ্ধ গোষ্ঠী চন্দ্রবাবুর উপর হামলার চেষ্টা করেছিল। তারপর থেকে এই নেতা জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। গতকাল টয়োটা ফরচুনার, টাটা সাফারি-সহ ১৩ এসইউভি’র কনভয় নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে আসেন চন্দ্রবাবু। বুধবার তিনি বিশাখাপত্তনম যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু অন্ধ্র সরকার তাঁকে অনুমতি দেয় কিনা সেটাই দেখার।