চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোনও ভাবেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করবে না, জানাল আইসিসি

প্রতীকী চিত্র

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যে পরিকল্পনার পথে হাঁটার চেষ্টা করেছিল, তা বাতিল করে দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বলেছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তিনটি শহরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। কিন্তু আইসিসি সেই দাবি নস্যাৎকরে দিয়েছে।

১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই ট্রফি যাওয়ার কথা ছিল স্কার্দু, মুরি এবং মুজফ্ফরাবাদে। এই তিনটি শহর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি এই তালিকা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার পরেই আইসিসি জানিয়ে দেয় যে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফিটি। ইসলামাবাদে পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় চূড়া কেটু-তে যাবে সেই ট্রফি। যদিও লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না। সেখানে প্রচুর কুয়াশা। সেই কারণেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না এই তিন শহরে। তবে পাকিস্তানে ট্রফি ট্যুর হচ্ছে বলেই যে সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে এমনটা নয়।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতাটি। সেই কারণেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছিল পিসিবি। গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের সময়ে যেমন ভারতের বিভিন্ন শহরে ট্রফি এসেছিল। কলকাতাতেও ট্রফি এসেছিল সেই সময়।


পাকিস্তানে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রাজি নয়। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও ভারতের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ কোনও দেশে হতে পারে। যদিও পাকিস্তান এই মডেল মানতে রাজি নয়। এমন হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলার হুমকিও দিয়েছে তারা।

আটটি দল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমস্যার কারণে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

নভেম্বরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করার কথা আইসিসি-র। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফাইনাল হতে পারে ৯ মার্চ। সূচি ঘোষণা হলেও সেখানে কোন মাঠে খেলা হবে তা হয়তো লেখা থাকবে না। সব ম্যাচ পাকিস্তানে না হলেও লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি এবং করাচিতে কিছু ম্যাচ রাখা হবে। ভারতীয় দল যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলে, তাহলে প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনেকটাই কমে যাবে। শুধু তাই নয়, ভারত ও পাকিস্তান খেললেই সেই প্রতিযোগিতা ঘিরে সারা বিশ্বেই উৎসাহ ও উদ্দীপনা চরমে গিয়ে পৌঁছে যায়। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীভাবে আয়োজিত হয়।