ঝাড়খন্ড, ৪ ফেব্রুয়ারি – সোমবার ঝাড়খন্ড বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন । অনেক টানাপোড়েনের পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন । এখনও বাকি আস্থা ভোট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সেই দিনটির দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো কড়া পুলিশ প্রহরায় রয়েছেন জেএমএম জোটের বহু বিধায়ক। আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া হবে। ২ ফেব্রুয়ারি ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন । রবিবার রাতেই জোট বিধায়কদের হায়দরাবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা হয় রাঁচিতে।
হেমন্ত সোরেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক ছবিটা বদলে যায়। হেমন্তের পর কে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। জেএমএম সূত্রে জানা যায়, হেমন্তের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যান। শাসক, বিধায়কদের সমর্থনও মেলে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পাই সরকারকে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ ১০ দিন সময় বেঁধে দেন । এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক অচলাবস্থা। হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও এখনও বিপদ কাটেনি। আস্থা ভোট না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না চম্পাই সোরেন ও তাঁর দল। চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আস্থা ভোট সোমবার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জেএমএম জোট সরকারই থাকবে ঝাড়খণ্ডে। তাই এর মধ্যে যাতে দলের ভাঙন না হয়, তার জন্য তৎপর চম্পাই সোরেন-সহ জেএমএম-কংগ্রেস জোট। তাই জোটের বিধায়কদের হায়দরাবাদের রিসর্টে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বাইরের কারও সেই রিসর্টে প্রবেশের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া কেউ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। রিসর্টের যে তলে বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই তলে অন্য কারও থাকার অনুমতিও নেই। এমনকি বিধায়কদের জন্য রিসর্টের আলাদা একটি সিঁড়ি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা কেবল ওই সিঁড়ি দিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় ওঠানামা করতে পারবেন। অন্য কোনও সিঁড়ি বা লিফট ব্যবহার করতে পারবেন না। সবমিলিয়ে, সরকার ধরে রাখতে জোর তৎপরতা দেখা যাচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে।
সোমবার একটি বিশেষ বাস নিয়ে আসা হবে ঝাড়খন্ড বিধানসভায়। প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এখন জেলে। তাঁকে জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করে গত ৩১ জানুয়ারি। যদিও তাঁকে আদালত আস্থাভোটে অংশ নিতে অনুমতি দিয়েছে।