স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর বিদেশি অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও কড়া ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে দেশবিরোধী কোনও সংগঠনের যোগসূত্র মিললে ওই সংস্থার বিদেশি অনুদান গ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হবে। মোদ্দা কথায় বলা যায়, কেন্দ্র ছাড়পত্র না দিলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না। এর জন্য প্রয়োজন বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১০ মেনে পদক্ষেপ করতে হবে।
সম্প্রতি একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে বিদেশ থেকে বিদেশী অনুদান নেওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কেন্দ্র। কেন সংস্থাগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কী কী কারণে বিদেশ থেকে অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। তবে কোন কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি নতুন নোটিস দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে, কোনও এনজিওর সঙ্গে যদি দেশবিরোধী কার্যকলাপ বা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর যোগ পাওয়া যায় তাহলে ওই সংস্থার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট তথা এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করবে কেন্দ্র। আরও বলা হয়েছে, সামাজিক এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ভঙ্গের কাজে যদি বিদেশি অনুদান ব্যবহার করা হয়, তাহলেও সেই এনজিওর এফসিআরএ লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে।
মূলত এফসিআরএ লাইসেন্স-এর মাধ্যমেই বিদেশি অনুদান নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। তবে কেন্দ্রের ছাড়পত্র ছাড়া বিদেশি অনুদান গ্রহণ করা যায় না। ২০১০ সালের ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করতে হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে। তবে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি এনজিওর বিদেশি অনুদান গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। কেন অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলছে না, সেই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাবও চেয়েছিল কয়েকটি সংস্থা। এর পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় যে কোন কোন কারণে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। দেশবিরোধী কার্যকলাপের যোগ ছাড়াও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ, ধর্মান্তর করা, সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশে উসকানিমূলক কার্যকলাপের্ মতো অভিযোগ থাকলে বিদেশি অনুদান মিলবে না বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও যদি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পদাধিকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অপরাধের মামলা থাকে, তা হলেও অনুমতি বাতিল হতে পারে। আবার কোনও ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গত দু’-তিন বছরে তেমন কোনও কাজ করেনি, সে ক্ষেত্রেও বিদেশি অনুদান পাওয়ার অনুমতি বাতিল হতে পারে।