দেশের জনসংখ্যার জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রেশনে খামতি। নজরদারির অভাব। কেন্দ্রীয় নথি বলছে, দেশে ১০% ক্ষেত্রে জন্ম-মৃত্যুর সরকারি রেজিস্ট্রেশনই হচ্ছে না। সরকারি সিস্টেমের জটিলতা এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়ে সব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অফিস।
কিন্তু কেন এই খামতি? কি কারণে সরকারি রেকর্ডে রেজিস্ট্রার থাকছে না জন্ম মৃত্যুর হিসেবে নিকেশ? স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ মানছেন, বহু ক্ষেত্রেই জন্মের পরে নবজাতকের অভিভাবককেই বলা হয় সে তথ্য সরাসরি স্থানীয় রেজিস্ট্রারের অফিসে জমা করতে। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও তাই। মেডিক্যাল ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেওয়ার পরেও অনেক হাসপাতাল, নার্সিংহোম মৃতের পরিবারের লোকজনদের বলেন স্থানীয় রেজিস্ট্রারের অফিসে জমা করতে। অথচ বার্থ-ডেথ রেজিস্ট্রেশন আইনের ৮/১/বি ধারা অনুযায়ী এই কাজ কারোর পরিবারের করার কথাই না। এই কাজের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কিংবা শ্মশান–কবরস্থান পরিচালনাকারী পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েতের। সেকারণেই রয়ে গিয়েছে খামতি।
পরিস্থিততে নিয়ন্ত্রণে কিছু নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কিংবা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের তরফে ২১ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কাছে যদি তথ্য জমা দেওয়া না হয়, রেজিস্ট্রার যদি তথ্য পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে বার্থ–ডেথ পোর্টালে তথ্য নথিভুক্ত না করেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার চিঠি রাজ্যের সব জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে পাঠিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যভবন।মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং পুর ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ মতো কাজ করতে হবে।