পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য রেলের ভাড়া কংগ্রেস দলের পক্ষে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। এর আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস বা ট্রেনের ভাড়া সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে বহন করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দলের ঘোষণার পরই চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার রেলকে ৮৫ শতাংশ ও রাজ্যগুলিকে ১৫ শতাংশ ভাড়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষে রাজ্যসরকারি যাত্রীপরিবহণ সংস্থাকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত বিজেপি পরিচালিত কর্নাটক সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়ার বিনিময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানায়। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই রাজ্যের বিজেপি সরকার নড়েচড়ে বসে। কিন্তু ততক্ষণে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষে সরকারি পরিবহণের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের হাতে এককোটি টাকার চেক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বরাবরই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে মোটানোর কথা বলে এসেছে। কিন্তু কংগ্রেস দলের পক্ষে সোনিয়া গান্ধি এর প্রতিবাদ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের নিজ রাজ্যে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে অমানবিক ও অসংবেদনশীল পদক্ষেপ নিয়েছে তার নিন্দা করার ভাষা নেই।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিজেপি যতই কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্যকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করুক তাতে তাদের পাপের বোঝা কমবে না বলে মন্তব্য করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষে। এছাড়া রেলমন্ত্রক কেন পিএম কেয়ার ফান্ডে ১৫১ কোটি টাকা দান করল সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
বিজেপির পক্ষে কোনও স্টেশনে টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে নির্দেশিকা নাকি জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু রেলমন্ত্রীর পক্ষে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়া পরিযায়ী শ্রমিক, পুণ্যার্থীদের ঘরে ফেরানোর জন্য রেল শ্রমিক স্পেশাল চালানোর কথা ঘোষণা করে।
২ মে এবিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয় রেলের দেওয়া টিকিট রাজ্য প্রশাসন যাত্রীদের হাতে তুলে দেবে। যাত্রীদের থেকে ভাড়া সংগ্রহ করে পুরো টাকা রেলের হাতে তুলে দিতে হবে। রেল জানিয়েছে, ওই টাকার মধ্যে ত্রিশ টাকা সুপারফাস্ট চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে। বাকি কুড়ি টাকা অন্যান্য চার্জ। এজন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে স্লিপার ক্লাসের ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০ টাকা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এনিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।