স্বস্তির তালিকায় ৪১টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম

সুরাহা সুগার-হার্টের রোগীদের
দিল্লি, ১৭ মে-– লোকসভা ভোটের মধ্যে খানিক স্বস্তি মিলল সাধারণ জনগণের পকেটে৷ গত এপ্রিল মাস থেকেই প্যারাসিটামল সহ অন্তত ৮০০ ওষুধের দাম বেড়েছিল৷ যারফলে সাধারণ মানুষের চিন্তা ক্রমাগত বেড়েছে৷ তবে এবার নিয়মিত ব্যবহূত হয় এমন ৪১টি সাধারণ ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্তে কিছুটা হাঁসি ফুটল মানুষের মুখে৷ এর আগে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে অত্যাবশকীয় ওষুধের দাম ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল৷ ওষুধের দাম বৃদ্ধির পিছনে মুদ্রাস্ফীতি একটি কারণ বলে বারবার দাবি করে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, লিভার সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধের দাম কমছে৷ ৪১টি ওষুধ ছাড়াও কমানো হচ্ছে এই সব রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত ৬টি ‘ফরমুলেশন’৷ ইতিমধ্যে ডিলার ও স্টকিস্টদের কাছে ওযুধের দাম কমার বার্তা পৌঁছে গেছে৷ দ্রুত সম্ভব যাতে নতুন দামে ওষুধ বিক্রি শুরু করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে এনপিপিএ৷
সারা ভারতে ১০ কোটির বেশি ডায়বেটিক রোগী রয়েছেন৷ তাই এই দাম কমার খবরে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবেন৷ এনপিপিএ বলছে, প্রতিবছরই ওষুধের পাইকারি মূল্য সূচক ঠিক করা হয়৷ সাধারণ মানুষের যাতে সুবিধা হয়, ওষুধের দাম নিয়ে যাতে চিন্তা কমে, সেই চেষ্টা করা হয়৷ মার্চ মাসেই অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ডায়াবিটিস, ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ সহ ৬৯টি ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আবার ২৮ ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধের দাম কমানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে৷ এছাড়া কোলেস্টেরল ও ব্যথার ওষুধের মূল্যও অনেকটা কমেছিল৷ সব মিলিয়ে ৩৯ ধরনের ওষুধের দাম কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷