অস্তিত্ব সংকটে ‘কাগুজে’ সোনা! প্রভাব পড়বে বাজারেও 

দিল্লি, ৩০ জুলাই– দ্রুত পাল্টাচ্ছে সময়। তার সাথেই সামঞ্জস্য রেখে পাল্টাচ্ছে মানুষের জীবন-ব্যবসা।এই যেমন আগে মধ্যবিত্তরা  হাতে কিছু অতিরিক্ত টাকা পেলেই সোনা কিনে রাখতেন। শুধু গহনা হিসাবেই নয়, সোনা-কে  স্ত্রীধন বলা হয় কারণ বিপদের দিনে অর্থকষ্ট থেকেও উদ্ধার করতে পারে। তবে সময় বদলেছে। সোনার প্রতি ভালবাসা না কমলেও, তার কেনার ধরন বদলেছে। এখন ধাতু হিসেবে না কিনে কাগজেও সোনা কেনা যায়। এটি হল সভরেন গোল্ড বন্ড। বহু মানুষই এখন বিনিয়োগ করেন গোল্ড বন্ডে  এতে সোনা কেনা যেমন হয়, তেমনই প্রতি বছর ভাল রিটার্নও মেলে। তবে বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে খারাপ খবর। সরকার চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারে এই বিনিয়োগের অপশন।

‘সভরেন গোল্ড বন্ড স্কিম’ বন্ধ হওয়ার জল্পনা শোনা যাচ্ছে বিগত কয়েকদিন ধরেই। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সরকার গোল্ড বন্ড ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে পারে বা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিতে পারে। এর কারণ হিসাবে গোল্ড বন্ডের খরচকেই উল্লেখ করা হয়েছে। সভরেন গোল্ড বন্ড তৈরিতে সরকারের যা খরচ হচ্ছে, সেই তুলনায় লাভ বিশেষ হচ্ছে না। সেই কারণেই সরকার গোল্ড বন্ড প্রত্যাহার করে নিতে পারে।

সহজ কথায় বলতে গেলে, সভরেন গোল্ড বন্ড হল ডিজিটাল মাধ্যমের সোনা। এই স্কিমের অধীনে ভারতের নাগরিক, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার , ট্রাস্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ও চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ফরম্যাটে সোনায় বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রতি গ্রামের হিসাবেই এই বন্ড হয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১ গ্রাম। সর্বাধিক ৮ বছরের মেয়াদে এই ডিজিটাল গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা যায়। তবে বিনিয়োগকারীরা চাইলে, ৫ বছর পর বিনিয়োগ তুলে নিতে পারেন বা সেই বন্ডের পরিমাণের সমান সোনা কিনতে পারেন। প্রতি বছর একটি ২.৫ শতাংশ হারে সুদও পাওয়া যায় গোল্ড বন্ডের উপরে।  বিনিয়োগের মেয়াদ পূরণের পর, সেই সময়ে সোনার যা দাম থাকবে, সেই হিসাবে টাকা বা সম পরিমাণ সোনা পাওয়া যায়।