চাপের মুখে কর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

বেসরকারি কর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি-র চেয়ারপার্সনকে এক চিঠিতে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বাতিল করতে বলেছেন। আমলাদের জন্য বরাদ্দ পদে ল্যাটারাল এন্ট্রি বা সমান্তরাল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের জন্য ইউনিয়ান পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসিকে মঙ্গলবার চিঠি লিখল কেন্দ্রীয় সরকার। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

শনিবার ইউপিএসসি ৪৫ পদের জন্য একটি বিজ্ঞাপন জারি করেছিল। তাতে ১০ জন যুগ্মসচিব এবং ৩৫ জন ডিরেক্টর, উপসচিব পর্যায়ের পদের জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। আইএএস হওয়া আমলারাই এতকাল পদোন্নতির ভিত্তিতে এই পদমর্যাদায় আসতেন। কিন্তু এই নিয়োগে চুক্তিভিত্তিক বাইরে থেকে লোক নিয়োগের ব্যবস্থা হয়। সরকারি দফতর ও মন্ত্রকে বেসরকারি সংস্থা থেকেও বিশেষজ্ঞদের আবেদন চাওয়া হয়। এই বিজ্ঞপত্তির পর দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন মোদি সরকারের মন্ত্রী তথা এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের আগে অধিকাংশ এই ধরনের নিয়োগ হয়।  কিন্তু আমাদের সরকার চায় এই নিয়োগে স্বচ্ছতা অবলম্বন করতে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হোক। বিশেষত সংরক্ষণের যে কথা বলা আছে তা প্রতিফলিত হোক।


প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্তাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল, সোমবার সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এনডিএ-র শরিক চিরাগ পাসোয়ান (রামবিলাস-পুত্র)। তাঁর বক্তব্য, পিছিয়ে থাকা অংশের মানুষের সংরক্ষণের সুবিধা কেড়ে নিয়ে বেসরকারি কোম্পানির আধিকারিকদের বসানোর সরকারি সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী তাঁর দল লোক জনশক্তি। চিরাগের দাবি, সমস্ত সরকারি পদে ইউপিএসসি-র নিয়ম মেনে নিয়োগ করতে হবে। সংরক্ষণকে অস্বীকার করা যাবে না।