জাতীয় শিল্প করিডোর উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে দেশে শিল্পসমৃদ্ধ ১২টি ‘স্মার্ট সিটি’ গড়ে তুলবে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই নতুন ১২টি প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় হবে ২৮ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে মোট ৯টি রাজ্যের ১২টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার একথা জানান।
দেশের ৯ টি রাজ্যের যে ১২টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, উত্তরাখণ্ডের খুরপিয়া, বিহারের গয়া, অন্ধ্রপ্রদেশের ওরভাকাল এবং কোপ্পারথি, পাঞ্জাবের রাজপুরা-পাতিয়ালা, তেলেঙ্গানার জাহিরাবাদ, মহারাষ্ট্রের দিঘি, কেরলের পালাক্কাড়, রাজস্থানের যোধপুর-পালি, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা ও প্রয়াগরাজ। এই শহরগুলির মধ্যে গড়ে তোলা হবে করিডোর, যার মাধ্যমে সহজেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে শিল্পনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। পরিকল্পনায় রয়েছে, এই ধরণের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর তৈরি করা হবে। ১২ স্মার্ট শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অত্যআধুনিক মানের এই প্রকল্প সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ১০ লক্ষ সরকারি ও ৩০ লক্ষেরও বেশি বেসরকারী কর্মসংস্থান হবে। এই স্মার্ট সিটি আগামী দিনের ভারতের ভবিষ্যত। এর মাধ্যমে গড়ে উঠবে সহজ অত্যাধুনিক শিল্পনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা।” তবে এই প্রকল্প গড়ে তুলতে কত বছর সময় লাগবে সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি।
অত্যাধুনিক এই শিল্পতালুকে কর্মস্থলের পাশেই থাকার ব্যবস্থা রাখা হবে। শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে পায়ে হেঁটে বা অল্প দূরত্বে গাড়িতে করে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকবে। কলকারখানার পাশাপাশি একটি শহরের যাবতীয় সুবিধে সেখানে পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের দাবি, দেশের আর্থিক উন্নয়নে এই ‘স্মার্ট সিটি’ প্রকল্প বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিযোগিতার বাজারে ভারতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।