• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

নাগাল্যান্ডে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যায় অভিযুক্ত সেনাদের বিচার নিয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব

দিল্লি, ১৬ জুলাই –  ২০২১ সালে নাগাল্যান্ডে সাধারণ গ্রামবাসীদের হত্যার অভিযোগ ওঠে সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাগাল্যান্ড সরকার এফআইআর করলেও কেন্দ্র বিচারের অনুমোদন খারিজ করে দেয়।  সেই নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে  মামলা করে নাগাল্যান্ড সরকার। সেই মামলায়  অভিযুক্ত সেনাদের বিচার নিয়ে এবার কেন্দ্রের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০২১ সালের

দিল্লি, ১৬ জুলাই –  ২০২১ সালে নাগাল্যান্ডে সাধারণ গ্রামবাসীদের হত্যার অভিযোগ ওঠে সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাগাল্যান্ড সরকার এফআইআর করলেও কেন্দ্র বিচারের অনুমোদন খারিজ করে দেয়।  সেই নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে  মামলা করে নাগাল্যান্ড সরকার। সেই মামলায়  অভিযুক্ত সেনাদের বিচার নিয়ে এবার কেন্দ্রের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০২১ সালের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সেনাদের বিচারে কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আপত্তির কারণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।
 
২০২১ সালে নাগাল্যান্ডে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালীন ১৩ জন নিরীহ, সাধারণ গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে ৩০ জন সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে।গ্রামবাসীদের  হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৩০ জন সেনাকর্মীর বিচারের জন্য নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে বিধি মেনে কেন্দ্রের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত এপ্রিলে কেন্দ্র সেই অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।  এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নাগাল্যান্ড সরকার।  সেই মামলায় কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।  
 
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি যে বি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।  
 
 ৪ ডিসেম্বর, ২০২১। সেই রাতে নাগাল্যান্ডের মোন জেলার ওটিং গ্রামে জঙ্গিদের খোঁজে  অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্স এবং অসম রাইফেলসের যৌথ বাহিনী। অভিযোগ, সেই রাতে প্যারা কমান্ডোদের গুলিতে নিহত হন ১৩ জন গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে এক সেনাকর্মীও নিহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে ওই সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন একজন মেজরও। গত বছরের এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিচারের অনুমোদন খারিজ করে দেওয়া হয়।  নাগাল্যান্ড সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কোনও বিবেচনা না করে, এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই না করেই বিচার করার অনুমোদন অস্বীকার করে।
 
কেন্দ্রের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৩২ নম্বরের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন ফাইল করা হয়। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আবেদন করা যায়।