সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ক্ষতিপুরণ দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে সরকার। কেন্দ্রের দাবি, এই ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে অনেকেই নথি জাল করছে।
এই ধরনের অভিযোগ এলে তদন্তের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে একটি আবেদনও করেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি, ক্ষতিপূরণের লোভে করোনায় মৃত্যু নিয়ে বহু ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন মৃত্যুর দাবি উঠছে।
এই ধরনের ঘটনায় যাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি তদন্ত করতে পারে তার অনুমতি দিক আদালত। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র চাইছে এবার থেকে পরিবারের কেউ কোভিড়ে মারা গেলে ক্ষতিপূরণের আবেদন করার জন্য একটি সময়সীমা বেঁধে দিক শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণের জন্য পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হোক।
কেন্দ্র বলছে, যারা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গিয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকের ক্ষতিপূরণের আবেদন করার জন্য জুন মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। এরপর থেকে মারা যাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যেই আবেদন জানাতে হবে।
দেশে করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সদিচ্ছা শুরু থেকেই কেন্দ্রের ছিল না। বিরোধীরা কোভিডে মৃতদের পরিবারপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও তাতে একেবারেই সম্মতি দেয়নি মোদি সরকার।
শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেই ঠিক হয়, করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি তাতেও নানা ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে।
সরকারি হিসাব বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৭৯ জনের। যদিও অনেক আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থাই দাবি করেছে ভারতে প্রকৃত করোনা মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।
গত ২৪ ঘন্টাতেও করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২৭ জন। অর্থাৎ করোনায় মৃতের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সরকারের প্রদেয় ক্ষতিপুরণের অঙ্কটাও।