কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের দাপট কমছে। এই অবস্থায় দেশের অধিকাংশ রাজ্য স্কুল কলেজ খোলার পথে হাঁটছে। এ রাজ্যেও তিন জানুয়ারি থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এই অবস্থায় ছোটদের টিকাকরণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হল কেন্দ্রের তরফে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি দিয়েছেন সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
চিঠিয়ে সময়মতো ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি টিকাকরণ দ্রুত সম্পূর্ণ করতেও বলা হয়েছে। যারা এখনও কোনও ডোজ নেয়নি, তারা যাতে প্রথম ডোজ নিতে পারে, দ্রুত সে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের সচিব রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিএত লিখেছেন, “আমি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রশাসকদের অনুরোধ করছি সময়মতো ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা করুন। যারা এখনও একটিও ডোজ পায়নি, তাদের প্রথম ডোজের ব্যবস্থা করুন।”
যাবতীয় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পরেই ছোটদের করোনা ভ্যাকসিনেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিজের চিঠিতে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
তিনি লেখেন, বয়স ১৫ বছরের বেশি হলেই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত চলতি বছরের তিন জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ।
ইতিমধ্যে চার কোটি ছেষট্টি লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে দেশের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মাঝে ছোটদের টিকাকরণের সাফল্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
ছোটদের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ।