• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করতে ১০১ রকমের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (File Photo: IANS)

আরও একধাপ এগোল দেশ ‘আত্মনির্ভরতা’র লক্ষ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানকে বাস্তবায়িত প্রতিরক্ষা আমদানিতে কোপ পড়ল। রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করতে ১০১ রকমের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যুদ্ধবিমান থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র অনেক কিছুই এই তালিকায় রয়েছে।

এদিন রাজনাথ টুইট করেন, ‘২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ধাপে ধাপে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর হবে। এর মধ্যে স্থলসেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে প্রস্তাবিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার উপকরণ আছে। নৌসেনার উপকরণ রয়েছে আনুমানিক ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার। এবার থেকে দেশীয় সংস্থাগুলি তা উৎপাদন করবে। চলতি বছরে ঘরোয়া প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

রাজনাথ সিং এদিন টুইটারে আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়তে অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ব্যবস্থাপনা, চাহিদা এবং জনতত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ কার্যকর হলে দেশের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক উন্নয়নে জোয়ার আসবে। ডিআরডিও’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উৎপাদন সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

আগামী ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করার জন্য চার লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে। ২৬০ টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জন্য। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প। নৌসেনার জন্য ৪২ হাজার কোটি টাকায় ৬ টি সাবমেরিন আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

স্থলসেনার জন্য সোভিয়েত জমানার বিএমপি-২ বদলে আধুনিক ফাইটিং ভেহিকেলস আনার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০২১-এর ডিসেম্বরের পর থেকে এই ভেহিকেলস আর আমদানি করা হবে না। একইভাবে ৬ টি সাবমেরিন আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে ডিসেম্বর থেকেই। আমদানি বন্ধ করে দেশেই উৎপাদন হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।