• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কৃষকদের বন্ধ সমর্থন করায় বিরােধীদের তােপ কেন্দ্রের 

বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা।

কৃষক আন্দোলন (Photo: IANS)

বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি-হরিয়ানা এবং দিল্লি-পঞ্জাব সীমানাতেও হাজার হাজার কৃষক অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ, মঙ্গলবার দেশজুড়ে ভারত বন্ধ ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তাতে সমর্থন জানিয়েছে বিরােধী দলগুলি। আর বিরােধীদের আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানােয় নিয়ে এবার দ্বিচারিতার অভিযােগ আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। 

তাঁর দাবি, পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলেই কৃষি আইনে সংশােধন ঘটানাের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তখন কেউ টু শব্দটি করেননি। যত প্রতিবাদ এখন। 

সােমবার সংবাদমাধ্যমে বিরােধীদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ২০১৯ সালে ইংরেজিতে লেখা নির্বাচনী ইস্তাহারে কৃষিপণ্য বিপণন আইন (এপিএমসি) প্রত্যাহার এবং কৃষি-বাণিজ্যকে সবরকম বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। হিন্দিতে লেখা ইস্তাহারে আইনে সংশােধন আনার কথা বলা হয়েছিল।

২০১৩ সালে রাহুল গাঁধি নিজে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে ফলমূল এবং শাক-সব্জিকে এপিএমসি’র তালিকা থেকে বাদ দিয়ে খােলা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের পক্ষে প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারও সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর। 

তিনি বলেন, পুর্বর্তন ইউপিএ সরকার এই একই পরিবর্তন ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা করে দেখাতেই বিরােধিতা শুরু করে দিয়েছে সকলে। এমন দ্বিচারিতার জন্য লজ্জা হওয়া উচিত।

আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘােষণা করেছেন। তাঁদেরকেও একহাত নেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পুরস্কার নেবেন কী ফিরিয়ে দেন, তা ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে পড়ে। পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া নতুন কিছু নয়। আগেও এমন ঘটনা দেখেছি।