করোনা মোকাবিলায় জাতীয়স্তরে এবং রাজ্যস্তরে স্বাস্থ্যপরিকাঠামো গঠনের জন্য পঞ্চবার্ষিক প্রকল্পে পনেরো হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার দ্বিতীয় দফায় এই তহবিল বরাদ্দের কথা ঘোষণা করল। বুধবার সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
করোনা মোকাবিলায় আপতকালীন ব্যবস্থাগ্রহণ এবং সদাপ্রস্তুত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা প্যাকেজ তিনটি পর্যায়ে রূপায়িত হবে। জানুয়ারি-জুন ২০, জুলাই ২০-মার্চ ২১ এবং এপ্রিল ২১-মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে রূপায়িত হবে। প্রকল্পের টাকা দেশের সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে বন্টন করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে কোভিড ১৯ হাসপাতালগুলি উন্নয়ন, আইসিইউগুলির উন্নয়ন এবং অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া, করোনা মোকাবিলায় এক তহবিল গঠন করা হয়েছে। যাতে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে এমন রোগের প্রতিষেধক, সদাপ্রস্তুত স্বাস্থ্য পরিষেবা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির উন্নয়ন, পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলি ও অ্যাম্বুলেন্সগুলির জীবাণুমুক্তকরণ, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সরঞ্জাম ও মাস্ক সংগ্রহের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ভারতে এপর্যন্ত ছয় হাজারের বেশি করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১১৩৫, তামিলনাড়ুতে ৭৩৮ এবং দিল্লিতে ৬৬৯ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো তিন সপ্তাহের সম্পূর্ণ লকডাউনের সময় দোকানপাট, কারখানা, উৎপাদন ক্ষেত্র বন্ধরাখার কথা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যগুলি কর্মীদের বেতন হ্রাস, ঋণগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধির অনুমোদন এবং কেন্দ্র সরকারকে রাজস্বের অর্থ আগাম দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে।
তেলেঙ্গানায় করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বেতনের তারিখ বিলম্বিত হয়েছে। দিল্লি সরকার বেতন ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় বন্ধ করেছে। চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের থেকে ১১,০৯২ কোটি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। রাজ্যগুলিকে তাদের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় দুই বছরের জন্য এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে রাজনৈতিকস্তরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমপি ল্যাডে সংসদীয় ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য বছরে পাঁচ কোটি টাকা করে দেওয়া হত। কংগ্রেসের সাংসদ কার্তি চিদম্বরম কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন।