দেশজুড়ে কৃষকদের অনশন ধর্মঘট চলাকালীন দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কয়েক দিনের তফাতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কৃষকরা দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করল। প্রথম দিন ভারত বন্ধ ও দ্বিতীয় দিন অনশন ধর্মঘট পালন করা হয়। নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবিতে অনড় কৃষক ইউনিয়নগুলাে আন্দোলনকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এগােচ্ছে। নভেম্বর থেকে হাজার হাজার কৃষক জড়াে হয়ে আন্দোলন করছেন। বিরােধী দল ও ট্রেড ইউনিয়নগুলাে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন।
কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক ইউনিয়নগুলাের প্রতিনিধিদের কয়েক দফা আলােচনা হওয়ার পরও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আইন প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলনকে আরও জোরদার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার প্রশ্নই ওঠে না। কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সংস্কার করা হয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে না। আমরা প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলােচনায় বসতে প্রস্তুত- কৃষকদের দিক থেকে কি জবাব আসে তার অপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, নতুন আইনগুলাের প্রতিটি ধারা নিয়ে আলােচনা করতে প্রস্তুত।
বিভিন্ন রাজ্যের দশটি কৃষক ইউনিয়নের তরফে নতুন কৃষি আইনগুলােকে সমর্থন জানানাে হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ওই ইউনিয়নগুলাের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
ট্রাক্টরে চেপে একদল কৃষক রাজধানীতে ঢােকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে সংঘর্ষ বাধে। কৃষকদের টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ২০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এক ঘন্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশব্যাপী কৃষকদের অনশন ধর্মঘট হয়। কৃষক ইউনিয়নের ৩৩ জন নেতা সিঙঘুতে অনশনে বসেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, ‘আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, দেশের কৃষকদের জন্য অনশন করুন। ভগবানের নিকট প্রার্থনা করুন, যাতে কৃষকরা সফল হন। কৃষকরা জয়ী হবেন।’