কচ্ছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি পালন, জওয়ানদের মিষ্টিমুখ করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতি বছরের মতো এবারও জওয়ানদের সঙ্গেই দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার গুজরাটের কচ্ছ উপকূলের স্যর ক্রিক এলাকার লক্কি নালায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন বিএসএফের লঞ্চে চেপে। সেখানে পৌঁছে বিএসএফ জওয়ানদের দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টিমুখ করান তিনি। গত এক দশকের রীতি মেনে সীমান্তে গিয়ে সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানান মোদী।

 
বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ আধিকারিক এবং জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন তাঁদের। জ্বালালেন প্রদীপ। এদিন তিনি বলেন, ‘জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব উদযাপন করতে পৰ সবথেকে আনন্দের। আপনাদের সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই।’
 
মোদী বলেন, ‘ভারত সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না। দেশ রক্ষার ক্ষেত্রে মানুষ সামরিক শক্তির উপর আস্থা রাখে। আমরা সেনাদের দৃঢ়তার উপর আস্থা রাখি। ভারতবাসী আপনাদের জন্যই সুরক্ষিত বোধ করে। বিশ্ব যখন আপনাদের দিকে তাকায় তখন তারা ভারতের শক্তি উপবিধি করতে পারে। যখন শত্রুরা আপনাদের দেখে তখন তারা তাদের ষড়যন্ত্রের 
শেষ দেখতে পায়।’   
 
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর দীপাবলি সেনাদের সঙ্গে কাটান মোদী। এর আগে  জম্মু ও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ সীমান্তে সেনা এবং আধাসেনার সঙ্গে দীপাবলি উৎসবে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। এ বারই প্রথম গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে স্যর ক্রিক এলাকায় দীপাবলি কাটালেন প্রধানমন্ত্রী। 
 
প্রসঙ্গত, সিন্ধু নদের ব-দ্বীপ এলাকায় প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্যর ক্রিক অঞ্চলটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অবস্থিত একটি বিতর্কিত ভূখণ্ড। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্ব বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’-এর । ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমান ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাকসেনা নিহত হন।