যাত্রী সেজে ডাকাতি, ছিনতাই করে ট্রেন থেকে নেমে চলে যাওয়ার ঘটনা, মাদক খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ, চুরির মতো ঘটনাও হামেশাই ঘটে চলেছে। এই সমস্ত ঘটনাগুলির তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভিই একমাত্র ভরসা পুলিশ ও আরপিএফের। তার সঙ্গে রয়েছে হকারদের গতিবিধির উপরও নজর রাখাও।
এছাড়া ছোট স্টেশনে অপরাধ হলে মূলত গোয়েন্দাগিরির উপরই নির্ভর করতে হয়। এবার সেই সমস্ত অপরাধের তদন্তে দিশা দেখাবে সিসিটিভির ফুটেজ।যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আরো কড়াকড়ি করতে বড় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল।
দেশের ৭৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে সারাক্ষণের ভিডিও নজরদারির চাদরে। যার মধ্যে শুধু বাংলারই ২২৬টি।
ভারতীয় রেল ও রেলটেলের ‘নির্ভয়া’ ফান্ড থেকে বহন করা হবে এই প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয়। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ৭৫৬টি স্টেশনে কাজ শুরু হলেও পরবর্তীকালে অন্যান্য স্টেশনেও বসবে ভিডিও সার্ভেলেন্স সিস্টেম (ভিএসএস)।
প্রবেশদ্বার, বুকিং স্টেশন, যাত্রী প্রতিক্ষালয়, ফুট ওভারব্রিজ, পার্কিং এরিয়া-সহ গোটা চত্বরে থাকবে এই নজরদারি। যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, তাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের কালো তালিকায় থাকা কোনও সন্দেহভাজনের মুখ ক্যামেরায় ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আরপিএফ থানায় চলে যাবে অ্যালার্ট।
এছাড়া থাকছে প্যানিক বাটন, ভিএমএস সফটওয়্যার-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক পরিকাঠামো। স্টেশন সংলগ্ন আরপিএফ থানা বা পোস্টে ৩০ দিন পর্যন্ত স্টোর থাকবে ভিডিও ফুটেজ। যার জন্য প্রতি থানা বা পোস্টে অতিরিক্ত দশ শতাংশ করে স্টোরেজ বৃদ্ধিও করা হচ্ছে।
বড় স্টেশনের মতো ছোট স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে চাইছে ভারতীয় রেল। রাজ্যের স্টেশনগুলিতে সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব জানিয়েছেন, রাজ্যের স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত ৩০টি স্টেশনে চলতি বছরের মধ্যেই বসে যাবে এই সিসিটিভি।
এজন্য নির্দেশ এসে গিয়েছে। সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম বিভাগ এই কাজ করবে। নজরদারির আওতায় থাকবে স্টেশনে প্রবেশ ও বেরনোর পথ, টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম, প্ল্যাটফর্ম, ফুটওভার ব্রিজ ইত্যাদি।