বাড়িতেও করােনায় মৃত্যু হলে কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে হবে: কেন্দ্র

প্রতীকী ছবি (File Photo: AFP)

যদি কোনও কোভিড আক্রান্ত রােগীর বাড়িতে মৃত্যু হয় তবে তা কোভিড মৃত্যু হিসাবেই ধরতে হবে। মৃত্যুর শংসাপত্রে স্পষ্ট লিখতে হবে করােনাতেই মৃত্যু হয়েছে রােগীর। কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে যখন একাধিক রাজ্য তথ্য লুকোচ্ছে সেই সময় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানালাে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি কোনও চিকিৎসক এর অন্যথা করেন তাহলে সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃতদের তালিকা তৈরিতে প্রধানত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা মৃত রােগীদের শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হচ্ছিল। হাসপাতালের বাইরে পার্কিং লটে চিকিৎসায় অপেক্ষায় থাকা কোনও রােগীর মৃত্যু হলে তাঁকে কোভিডে মৃত বলে উল্লেখ করা হচ্ছিল না। শনিবার রাতে দেশের শীর্ষ আদালতে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র সেখানেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা লুকানাের অভিযােগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি এবং বিহারের বিরুদ্ধে। করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন গােটা বিশ্ব বিপর্যস্ত সেই সময় দেশের মধ্যে বিহারে প্রথম পাঁচ মাসে ৭৭১৭ জন করােনা রােগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিহার। কিন্তু পরে জানা যায় বিহারে ওই পাঁচ মাসে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর শংসাপত্রে তার কোনও উল্লেখ নেই। বিহারের ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের’ নথি থেকে এই তথ্য জানা যাচ্ছে। 


এরকম এক অবস্থার মধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তাতে বলা হয় কোভিডে প্রিয়জনকে হারানাে সত্ত্বেও হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। কারণ মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিডের উল্লেখ থাকছে না।

যদিও ওই জনস্বার্থ মামলায় কোভিডে মৃতদের জন্য মাথাপিছু চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানাে হলেও আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে এই অর্থ দেওয়ার সামর্থ কেন্দ্রের নেই। কারণ একমাত্র প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে অর্থ সাহায্য করা হয় কেন্দ্রের তরফে। রাজ্য এই একই পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ায়।