• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাস্তার ধারে খেতে বসেছিলেন, গাড়ি এসে পিষে দিল ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিককে

ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেলেও পাঠানাে হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

লকডাউনের মাঝে দিল্লি থেকে বিহারে নিজের গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন এক শ্রমিক। সাইকেলেই হাজার কিলােমিটার পাড়ি দিয়ে চম্পারণ পৌঁছবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি। সফরের মাঝে রাস্তার ধারেই একটু জিরিয়ে নিতে বসেছিলেন ওই যুবক। তবে পেটে দানাপানি দেওয়ার আগেই পিছন থেকে এসে যুবককে পিষে দেয় তীব্র গতির একটি গাড়ি। মৃত্যু হয়েছে ওই শ্রমিকের।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাঘির আনসারি। বয়স মাত্র ২৬। গত ৫ মে সাতজনের একটি দল দিল্লি থেকে বিহারের দিকে রওনা দেয়। সেই দলেই ছিল সাঘির। শনিবার লখনউয়ের কাছে মৃত্যু হয় তাঁর। সাইকেলে পাড়ি দিয়ে পাঁচদিনের মাথায় সেদিনই লখনউ এসে পৌঁছয় ওই শ্রমিক দল। সকাল ১০ টা নাগাদ রাস্তার ধারেই একটি ডিভাইডারের উপর জলখাবার খেতে বসেন ওই শ্রমিকরা তখনই দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ি পিষে দেয় সাঘিরকে।

পুলিশ জানিয়েছে, লখনউয়ের নম্বর প্লেট ছিল ঘাতক গাড়িটিতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটি। আর তারপরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে ওই ডিভাইডারের উপর আপাতত একটি গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

সাঘিরের বাকি সঙ্গীরাই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই সাঘিরকে মৃত বলে ঘােষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের সঙ্গীদের অভিযােগ, ঘাতক গাড়ির চালক প্রথমে ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা দেওয়ার কথা বললেও পরে সেসব দিতে রাজি হয়নি। স্থানীয় কিছু সংস্থার মাধ্যমে চাঁদা তুলে এরপর অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে সাঘিরের দেহ পাঠানাে হয়েছে তাঁর গ্রামে। স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে মৃত শ্রমিকের।

ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেলেও পাঠানাে হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।