দিল্লি, ২৪ জানুয়ারি – প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে। ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লির বিজয় চক থেকে শুরু হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। লালকেল্লা হয়ে তা শেষ হবে কর্তব্যপথে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লি পুলিশের তরফে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। ট্রাফিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে ।
এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে ১৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্বাচন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, লাদাখ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশ।
ইন্দিরা গান্ধি ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টস এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন এর সুপারিশে বিশিষ্ট শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। কোন কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে, তা ঠিক করে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। যদিও কুচকাওয়াজের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছিল পাঞ্জাব এবং কর্ণাটক। তবে সে আপত্তি ধোপে টেকেনি।
এবারে কুচকাওয়াজে দেশের দুটি থিম তুলে ধরা হবে। ‘ভিক্ষিত ভারত’ এবং ‘ভারত – লোকতন্ত্র কি মাতৃকা’। দিল্লির কর্তব্য পথে এই বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেখা মিলবে অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের দেবতা রামলালার প্রতিকৃতিও। উত্তরপ্রদেশ থেকে যে ট্যাবলোটি কুচকাওয়াজে অংশ নেবে, তাতেই থাকবে রাম লালার মূর্তি। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়ার পরই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার শোভাযাত্রায় রামলালার প্রতিকৃতি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
পাশাপাশি কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবার তাদের ট্যাবলোতে তুলে ধরবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিভিন্ন দিক ও তার প্রয়োগ কৌশল। সাম্প্রতিককালে এআই প্রযুক্তি নিয়ে সারা বিশ্বে জোর চর্চা চলছে। এই প্রযুক্তির কারণে বহু মানুষ তাঁদের চাকরি হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ট্যাবলোর বিষয় নির্বাচন খুবই প্রাসঙ্গিক।