টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে এক কলগার্লকে খুনের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরুগ্রামের ঝাড়সা গ্রামের একটি গেস্ট হাউসে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম লক্ষ্মী। তিনি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। গুরুগ্রামের ওই গেস্ট হাউসে ম্যাসেজ থেরাপি করতে গিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তের নাম অনিল পহল। বছর চল্লিশের অনিল গুরগ্রামের জ্যোতি পার্কের বাসিন্দা। কাস্টম ব্রোকার হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত অভিযুক্ত।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের কাছে খবর আসে ঝাড়সা গ্রামের একটি গেস্ট হাউসে এক তরুণীকে খুন করা হয়েছে।
খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের টিম ঘটনাস্থকে পৌঁছয় এবং দেহটি হেফাজতে নেয়। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
মৃতের দিদি রবিবার পুলিশকে জানিয়েছেন, গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার জানিয়েছিলেন অনিল পহল শুক্রবার একটি রুম বুক করেছিল। শনিবার অনিল এক দালালের মাধ্যমে তাঁর বোনকে ডেকে পাঠায়, ধর্ষণও করে। বোন বাধা দিলে ওকে খুন করে অনিল।
মৃত তরুণীর দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে গুরুগ্রামের সদর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন ক্রাইম ব্রাঞ্চের টিম গুরুগ্রামে অশোজ বিহার এলাকা থেকে রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার বলেন, তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত পুলিশকে বলে ৬ সেপ্টেম্বর সে ঝাড়সার মোহিত গেস্ট হাউসে একটি রুম বুক করে। পরদিন এক দালালের মাধ্যমে ওই তরুণীকে ডেকে পাঠায়। তিনি তাঁকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরে মেয়েটি আরও আড়াই হাজার টাকা দাবি করে। এর পর মৌখিক বচসা হয় এবং রাগের মাথায় সে ওই তরুণীকে খুন করে। তার পর মৃতের মোবাইল ফোন-সহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।