তাঁর দল বিজেপি’র শরিক। নাগরিক বিলেও সংসদে নরেন্দ্র মােদি সরকারের পক্ষেই ভােট দিয়েছে নীতীশ কুমারের দল। তবু আগাগােড়াই এই বিলের বিরােধিতায় এই বিলের বিরােধিতায় সরব হয়েছেন জেডি(ইউ)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কিশাের ।
বাংলায় তৃণমূলের ভােট স্ট্র্যাটেজিস্টের গলাতেও শােনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সুর। এবার নাগরিক আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যকে জোটবদ্ধ পদক্ষেপ করার ডাক দিলেন প্রশান্ত কিশাের ।
শুক্রবার টুইট তিনি লিখেছেন, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এখন বিচারবিভাগ ছাড়া ভারতের আত্মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ১৬জন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। কারণ সেই রাজ্যগুলিকেও নিজেদের জায়গায় এই আইন কার্যকরী করতে হবে। সিএবি ও এনআরসি’কে না করে দিয়েছেন পাঁচ মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় এসেছে বাকিদেরও।
বৃহস্পতিবারও ক্যাব নিয়ে সরাসরি নরেন্দ্র মােদি এবং অমিত শাহের দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। টুইট করে সতর্ক করেছেন এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল মােদি সরকারের এমন দুই ধারলাে অস্ত্র, যার মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে। এমনকী ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে শাস্তি পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে।
অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা ঘােষণার পরেও গর্জে উঠেছিলেন প্রশান্ত কিশাের। লােকসভায় নাগরিকত্ব সংশােধনী বিলে নিজের দল জেডি(ইউ)-র সাংসদরা পক্ষে ভােট দেওয়ায় সমালােচনায় ভরা টুইট করেছিলেন তিনি। টুইট করে তিনি লেখেন, ধর্মের ভিত্তিতে যে বিল তৈরি হয়েছে, তাকে সমর্থন করেছে জেডি(ইউ)। লােকসভায় দলের এই ভূমিকা দেখে আমি হতাশ। সংবিধানের প্রথম পাতাতেই তিন বার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা লেখা রয়েছে, তার পরেও দলের নেতারা এই কাজ করলেন।