সিএএ অসাংবিধানিক, সুপ্রিম কোর্ট আইন বাতিল করুক। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এভাবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন নােবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন । নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন ও দেশজুড়ে গতীয় নাগরিকপঞ্জি বলবৎ করার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ ভারত। এই পরিস্থিতিতে সিএএর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের প্রথম সারির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন অমর্ত্য সেন।
এদিন অমত্য সেন বেঙ্গালুরুর এক সভায় বলেন, সিএএ অসাংবিধানিক। তাঁর মতে দেশের শীর্ষ আদালতের উচিত, এই আইন বাতিল করে দেওয়া। একই সঙ্গে তিনি মােদি সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেন। সিএএ প্রসঙ্গে ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিষয়টি আলােচিত হয়েছিল। সেখানে স্থির হয়েছিল ভেদাভেদ করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা কখনই গ্রহণযােগ্য নয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, নাগরিকত্বের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্র, যেখানে কখনও ধর্মীয় ভেদাভেদের গণ্ডি কেটে দেওয়া যায় না। পাশাপাশি নাগরিকত্বের বিষয়টিকে ধর্মের থেকে আলাদা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, গােষ্ঠীগত ভেদভেদ তৈরি হলে তা শুধু স্বাভাবিক জীবনেই প্রভাব ফেলে না, তা বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতির ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
শুধু সিএএ নয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া। হিংসাত্মক ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছেন অমর্ত্য সেন। আরেক নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেই বলেছেন, যা পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে ভারত ধীরে ধীরে নাৎসি জার্মানি হওয়ার দিকে এগােচ্ছে। অমর্ত্য সেন বলেন, জেএনইউ-তে যা ঘটলাে তাতে তিনি হতভম্ব। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন। হামলার সময় কর্তৃপক্ষ কেন পুলিশকে জানাতে দেরি করলেন, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ।