অমরাবতী, ২২ জুন – অন্ধ্রপ্রদেশও বুলডোজার রাজনীতির পথ ধরল । দীর্ঘ ৩১ মাস পর অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে পা রেখেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তার পরপরই ‘প্রতিহিংসামূলক’ রাজনীতির সাক্ষী হল রাজ্য। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী যুবজনা শ্রমিকা রায়তু কংগ্রেস পার্টি বা চলতি কথায় ওয়াইএসআরসিপির একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
শনিবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাপিটাল রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওই বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।এলাকাবাসীর ঘুম ভাঙার আগেই এপিসিআরডিএ এবং মঙ্গলগিরি তাড়েপল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন যৌথ অপারেশন চালিয়ে বাড়িটি ভেঙে দেয়। ওয়াইএসআরসিপি-র তরফে এই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শুরু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারপক্ষের অভিযোগ, বেআইনিভাবে তৈরি করা হচ্ছিল বাড়িটি। গুন্টুর জেলার তাড়েপল্লি মণ্ডলে সীতানগরম বোট ইয়ার্ড কম্পাউন্ডে ৮৭০.৪০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বাড়িটি আইন ভেঙে তৈর চলছিল। ওখানে বাড়ি করার কোনও বৈধতা নেই।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ওয়াইএসআরসিপি-র তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেলুগু দেশম পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। বাড়ি ভাঙার বিষয়ে দলের তরফে আগের দিনই হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এপিসিআরডিএ-র সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় উচ্চ আদালতে। এমনকী আদালত নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে স্থগিতাদেশও দিয়েছে বলে দলের তরফে দাবি।
জগনমোহন রেড্ডির দল সরকারের এই কাজের প্রতিবাদে আদালত অবমাননার অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টার সময় সকলের অজ্ঞাতে বিরোধী দলের পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার কোনও নজির এই রাজ্যে নেই বলে এমনটা দাবি করে দলের তরফে বলা হয়েছে, বুলডোজার দিয়ে গোটা নির্মাণটি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি এই কাজের পিছনে টিডিপি নেতা তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রতিশোধের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন। এক এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, নাইডু স্বৈরতান্ত্রিক শাসকের মতো আচরণ করছেন। হাইকোর্টের নির্দেশও মানছেন না। রাজ্যে আইন ও বিচার ব্যবস্থা কি উধাও হয়েছে ? নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে রক্ত ঝরছে । উনি কুর্সিতে বসেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আগামী পাঁচ বছর কীভাবে রাজ্য চালাবেন।