দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি– ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.৯ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হলেও বাস্তবে দেখা গেল রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে তারও কম, ৫.৮ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বাজেট পেশ করার পর এমনটাই দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের৷ এবছরের বাজেটে অনুমানের জন্য ‘ফিসকাল ডেফিসিট’ বা রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.১%-এ আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ এদিন বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি ৪.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে চায় মোদি সরকার৷ সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন সীতারামন৷
ঋণের টাকা বাদ দিলে, সরকারের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হলে, তার যে ফারাক হয়, তাকেই রাজস্ব ঘাটতি বা ফিসকাল ডেফিসিট বলে৷ রাজস্ব ঘাটতি বাড়লে, জাতীয় ঋণের চাপ বাডে়৷ যার বিরূপ প্রভাব পডে় দেশের অর্থনীতিতে৷ এর ফলে মুদ্রার দাম পডে় যায়, যার জেরে মুখ ফিরিয়ে নেয় বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা৷ তাই রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের বা ক্যাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম নয় মাসে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৯.৮২ লক্ষ কোটি টাকা৷ গত বছরের বাজেটে ফিসকাল ডেফিসিটের অনুমান ছিল ছিল ১৭.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ, সেই অনুমানের ৫৫ শতাংশ ৯ মাসেই হয়েছিল৷ আগের বছরের তুলনায়, এই ক্ষেত্রে সামান্য উন্নতি হয়েছে৷ গত বছর একই সময়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৯.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা৷ বাজেটে রাজস্ব ঘাটতির অনুমান ছিল ১৬.৬১ লক্ষ কোটি টাকা৷
নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য বাজেটে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল সরকারের রাজস্ব আদায় হবে ২৭.১৬ লক্ষ কোটি টাকা৷ আর ব্যয় হবে ৪৫.০৩ লক্ষ কোটি টাকা৷ কিন্ত্ত, পরে তা সংশোধন করে, প্রাপ্তি অনুমান করা হয় ৪৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকা এবং ব্যায় ২৭.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা৷ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সরকারের মোট ৩০.৮০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ আর ৪৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার৷
অর্থনীতীবিদ সঞ্জীব সান্যাল ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ অব্যাহত থাকায় রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ৫.১ শতাংশ হবে৷’