দিল্লি, ৮ জানুয়ারি – ভারত-মলদ্বীপ কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ভ্রমণ সংস্থা থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা, মলদ্বীপ ইস্যুতে সোচ্চার সবাই। এই ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন তারকারাও। অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর থেকে হার্দিক পাণ্ডিয়া, সুরেশ রায়না , অক্ষয় কুমার, সলমন খান, জন আব্রাহাম, কঙ্গনা রানাউত, শ্রদ্ধা কপুর, টাইগার শ্রফ, বিন্দু দারা সিং একে একে লাক্ষাদ্বীপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারকা মহল। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রেন্ড হচ্ছে, ‘সরি মলদ্বীপ, উই হ্যাভ আওয়ার ওউন লাক্ষাদ্বীপ ।’
নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে মলদ্বীপের আচরণের জবাব দিয়েছে ভারতীয়রাও। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন হ্যাশ ট্যাগ ‘বয়কট মলদ্বীপ’-এর ট্রেন্ড। বিশেষজ্ঞ মহলের মত মোদি লাক্ষাদ্বীপকে ‘প্রোমোট’ করায় হিংসার জ্বলছেন মলদ্বীপের একাধিক মন্ত্রী। পর্যটক হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেন তাঁরা।
তারকা থেকে শুরু করে আমজনতা, মলদ্বীপকে পছন্দের ডেস্টিনেশনের তালিকায় রাখেন সকলেই। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি দেখে ‘আমাদের নিজস্ব মলদ্বীপ’ ঘোরার ঝোঁক রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। আর তাতেই চটেছেন মলদ্বীপের প্রশাসনিক কর্তারা।
গোটা বছরই লাক্ষাদ্বীপের আবহাওয়া মনোরম থাকে। আরব সাগরের পাড়ে বসে সানরাইজ দেখার অভিজ্ঞতা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। মূলত ফ্লাইটেই লাক্ষাদ্বীপ পৌঁছন ট্যুরিস্টরা। কোচি থেকে বিমানে লাক্ষাদ্বীপে পৌঁছানো যায়। কোচিই লাক্ষাদ্বীপের প্রবেশদ্বার। লাক্ষাদ্বীপে ঘুরে দেখা যাবে বাঙ্গারাম, আগাত্তি, কাদমত, মিনিকয়, কালপেনি, কাভারাত্তির মতো ছোট ছোট দ্বীপ। রয়েছে একাধিক নয়নাভিরাম আদিবাসী গ্রাম। ভার্চুয়াল আন্ডারওয়াটার মিউজিয়ামে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার সুযোগ। বেশিরভাগ পর্যটন প্যাকেজগুলিতে কায়াক, ক্যানো, প্যাডেল বোট, সেল বোট, উইন্ড সার্ফার, স্নোর্কেল সেট গ্লাস-তলযুক্ত নৌকা এবং অন্যান্য স্পোর্টসের সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে এবার দলে দলে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ ছুটছেন লাক্ষাদ্বীপে। লাক্ষাদ্বীপ ভারতের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একাধিক দ্বীপ মিলে আরব সাগরের বুকে এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট।