‘শেষকৃত্য জিহাদের’ আশংকা নিয়েও সম্প্রীতির বাঁধনে দুজন 

করােনা তার বীভৎসতায় মুছে দিয়েছে ধর্মীয় ভেদাভেদ। তবুও জাতপাতের রাজনীতি ভোট প্রচারের মূল ফোকাস। তবুও সম্প্রীতির বাঁধন নতুন করে বাঁচাবার পথ দেখাচ্ছে। ভাবা যায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে করোনায় নিহত এক হিন্দুর শেষকৃত্যে রয়েছে এক মুসলিম এবং আরেকজন খ্রিস্টান ধর্মের ব্যক্তি!

যে রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গো হত্যা বিরোধী আইন নিয়ে তুলকালাম ঘটেছে। সেই রাজ্যের ঘটলাে এই নজির। হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে চিতায় আগুন থেকে নদীতে চিতাভস্ম বিসর্জন করলাে এই ভিন্ন মেরুর ধর্মে থাকা দুজন। 

যতটা মারণ ভাইরাস করােনার সংক্রমণের আশঙ্কা। তার থেকে বেশি ছিল শেষকৃত্য জিহাদের সম্ভাবনা। দুইদিক সামলেও ওরা দুজন হিন্দু রীতিতে সৎকার করেছে। ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠলেও ওদের অনুশোচনা নেই। কেননা ওরা এক মহত কাজ (দেহ সৎকার) করেছে। 


ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকের শ্রীরঙ্গপত্তনে। গত ৩০ এপ্রিল ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে মারণ ভাইরাস করােনার সংক্রমণে। মৃতের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা দুজন কোভিড পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই দেহ সৎকার করা নিয়ে ছিল অনেক আশংকা। 

সেসময় এগিয়ে আসে সাদ খায়ুম নামে এক মুসলিম এবং রাহুল জর্জ নামে এক খ্রিস্টান ধর্মাম্বলী। এরা দুজন হিন্দু রীতিতে চিতায় আগুন দেওয়া থেকে চিতাভস্ম কাবেরী নদীতে বিসর্জন করে থাকে। 

এহেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির দেখা যায় বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের শ্রীরাঙ্গাপওনে। ধর্মীয় ভেদাভেদের আগুন যেখানে তুঙ্গে, সেখানে জীবনকে বাজি রেখে এই ঘটনা সত্যিই সম্প্রীতি উত্থানে বিশুদ্ধ অক্সিজেন।