• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

গত ২ দিনে ১০টি বিমানে বোমার হুমকি, বৈঠক ডাকল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক

গত দু'দিনে একের পর এক বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। জানা গিয়েছে, গত দুই দিনে অন্ততপক্ষে  ১০টি উড়ানে বোমাতঙ্ক দেখা দেয়। ব্যাহত হয় যাত্রী পরিষেবা। যদিও সবকটি ক্ষেত্রেই এই হুমকি ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বোমাতঙ্কের জেরে বুধবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।

গত দু’দিনে একের পর এক বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। জানা গিয়েছে, গত দুই দিনে অন্ততপক্ষে  ১০টি উড়ানে বোমাতঙ্ক দেখা দেয়। ব্যাহত হয় যাত্রী পরিষেবা। যদিও সবকটি ক্ষেত্রেই এই হুমকি ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বোমাতঙ্কের জেরে বুধবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে এর পাশাপাশি বোমাতঙ্কের ঘটনাগুলি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা। সোমবার এবং মঙ্গলবারের এই বোমা হামলার হুমকির ঘটনাকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ বিমান নিরাপত্তা সংস্থা।
 
রিপোর্ট অনুযায়ী, যেসব বিমানগুলিকে হুমকি দেওয়া হয় তার মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উড়ানও রয়েছে। সবক’টি ক্ষেত্রেই বোমা মেরে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে গত ৪৮ ঘণ্টায়। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি থেকে শিকাগোগামী উড়ানও। এয়ার ইন্ডিয়ার সেই উড়ানে ২১১ জন যাত্রী ছিলেন। পরে সেই বিমানটির যাত্রাপথ বদল করে কানাডার একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। 
 
জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় যতগুলি হুমকি এসেছে, তার মধ্যে ৭টি করা হয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর মাধ্যমে। এর জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চরম ভোগান্তি ভোগ করতে হয়েছে কয়েকশো যাত্রীকে। উড়ান সংস্থাগুলিকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে, হয়েছে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও। 
 
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সোমবার বোমা হামলার হুমকির মুখে পড়েছিল মুম্বইয়ের তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। পরে বিমানের অভ্যন্তরে তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পাননি সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো , সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং পুলিশের কর্তারা। মঙ্গলবার দিল্লি-শিকাগো এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ছাড়াও জয়পুর-বেঙ্গালুরু এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, দাম্মাম-লখনউ ইন্ডিগো ফ্লাইট, দারভাঙ্গা-মুম্বই স্পাইসজেট ফ্লাইট এবং শিলিগুড়ি-বেঙ্গালুরু আকাসা এয়ার ফ্লাইট-সহ সাতটি বিমানে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে ট্যাগ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। তার মধ্যে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘আমরা বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছি। সেগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।’ প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লন্ডন-সহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ থেকে এই হুমকি বার্তা আসে। এই আবহে এই বিমানগুলি বিভিন্ন সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে না গিয়ে মাঝপথেই কোথাও একটা জরুরি অবতরণ করছে। এতে উড়ান সংস্থাগুলির লোকসান বাড়ছে। সেই সব বিমানে থাকা যাত্রীরা মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। 
 
তবে দু’দিনই দেখা যায় বোমার খবর ভুয়ো। আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এই ধরণের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় চিন্তিত বিমান সংস্থা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত পদস্থ কর্তারাও। তাই আর দেরি না করে বুধবারই এই বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। কারা, কী কারণে এই হুমকি দিচ্ছে তা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখছে সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো বা বিসিএএস এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি। 
 
অতীতেও বেশ কয়েক বার বিমানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু বিমান নয়, হাসপাতাল, ট্রেনও বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পাঠানো হয়। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই সমস্ত হুমকি ভুয়ো হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। 
এর আগে গত ১৩ অক্টোবরও মুম্বই থেকে উড়ে যাওয়া দু’টি বিমান এবং একটি ট্রেনে বোমা রয়েছে বলে হুমকি বার্তা এসেছিল। সেদিন মুম্বই থেকে উড়ে যাওয়া নিউইয়র্কগামী এয়ার ইন্ডিয়া উড়ানে বোমাতঙ্ক দেখা দিলে সেটি দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করেছিল। এছাড়াও সেদিন মুম্বই-মাস্কট ইন্ডিগোর উড়ান, মুম্বই-হাওড়া মেলেও একইরকম হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হাওড়াগামী ট্রেনে বোমা থাকার বার্তার পর সেটিকে জলগাঁওয়ের কাছে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও কোনও বোমা মেলেনি।