• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

মহারাষ্ট্র পুলিশ ও সরকারই লুকিয়ে রেখেছিল মিহিরকে, বাবা শিব সেনা নেতাকে বহিষ্কার মুখ্যমন্ত্রীর

মুম্বই, ১০ জুলাই– মদ্যপ অবস্থায় মহিলাকে পিষে মেরেও দিব্যি বহাল তবিয়তে গা ঢাকা দিয়ে ছিল শিব সেনা নেতার ছেলে৷ কিন্তু গোটা দেশজুড়ে ঘটনার শোরগোল পড়ে গেলে অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত মিহির শাহ৷ কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ, এই দাবি তুলছিল বিরোধীরা৷ মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলছেন, ‘সরকার ও পুলিশ ইসু্যটাকে চেপে

মুম্বই, ১০ জুলাই– মদ্যপ অবস্থায় মহিলাকে পিষে মেরেও দিব্যি বহাল তবিয়তে গা ঢাকা দিয়ে ছিল শিব সেনা নেতার ছেলে৷ কিন্তু গোটা দেশজুড়ে ঘটনার শোরগোল পড়ে গেলে অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত মিহির শাহ৷ কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ, এই দাবি তুলছিল বিরোধীরা৷

মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলছেন, ‘সরকার ও পুলিশ ইসু্যটাকে চেপে দিতে চাইছে৷ মিহিরকে ইচ্ছা করেই আগে গ্রেপ্তার করা হয়নি, কারণ উনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷ তখন পরীক্ষা করলে রক্তে অ্যালকোহল পাওয়া যেত৷ আমি বলছি, পুলিশই ওঁকে লুকিয়ে রেখেছিল৷ যখন দুবার পরীক্ষা করেও রক্তের নমুনায় কিছু পাওয়া গেল না, তখনই ওঁকে ধরা হল৷ এই মামলায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি৷” এদিকে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতে অভিযুক্ত মিহির নাকি গোঁফদাডি় কামিয়ে ফেলেছিলেন৷

অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই মিহিরের বাবা তথা শাসকদল শিবসেনার নেতা রাজেশ শাহকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি জামিন পেয়ে যান৷ কিন্ত্ত, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের চাপে অবশেষে বুধবার ডেপুটি দলনেতার পদ থেকে রাজেশকে অপসারিত করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের দলের নেতা রাজেশ শাহর ছেলে মিহির৷ বয়স ২৪ বছর৷ অভিযোগ, গত শনিবার রাতে বাডি় ফেরার পথে জুহুর একটি বারে মদ্যপান করেন মিহির৷ এর পর তিনি ‘লং ড্রাইভে’ নিয়ে যেতে বলেন ড্রাইভারকে৷ ওরলিতে পৌঁছনোর পর নিজেই গাডি় চালাবেন বলে জেদ ধরেন৷ মিহির স্টিয়ারিংয়ে বসার কিছুক্ষণ পরেই একটি স্কুটারে ধাক্কা মারেন৷ স্কুটারে ছিলেন মাছ বিক্রেতা প্রদিক নাকভা এবং তাঁর স্ত্রী কাবেরী নাকভা৷ অন্য দিনের মতোই রাতে মুম্বই বন্দরে পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ মিহিরের গাডি় পিষে দেয় কাবেরীকে৷ প্রদিক অল্প আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান৷ এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত অধরা ছিলেন মিহির৷ অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷