• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিল্লিতে সেনা স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনএসজি ও এনআইএ

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ৭:৪৭ মিনিটে পিসিআর কলে তাঁরা বিস্ফোরণের খবর পান। 'প্রশান্ত বিহার থানার এসএইচও ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন যে স্কুলের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাছাকাছি একটি দোকান ও একটি গাড়ির জানালার কাঁচও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রবিবার সকালে দিল্লির রোহিনীর প্রশান্ত বিহার এলাকায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) স্কুলের কাছে একটি তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। তবে, এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। সকাল ৭:৫০ মিনিটে স্কুলের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

সিআরপিএফ স্কুলের সেক্টর ১৪-এর কাছে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে আর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং জাতীয় সুরক্ষা বাহিনী (এনএসজি)-র কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছে যান। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে স্কুলের দেওয়াল, কাছাকাছি দোকান এবং একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আকাশে ধোঁয়ার মেঘ ঢেকে যায়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি কারা উপস্থিত ছিল তা জানার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি দেশি বোমা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে একপ্রকার ‘সাদা গুঁড়ো’ উদ্ধার করেছেন এবং তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এছাড়াও, স্কুলের দেওয়ালের কাছে একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
এনএসজি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে কিছু উপাদান সংগ্রহ করে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণটি কোনও ধরনের বিস্ফোরক দ্বারা ঘটেছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের সন্দেহ, এটি একটি দেশি বোমার বিস্ফোরণ হতে পারে।’ এনএসজি কমান্ডোরা রোবট ব্যবহার করে পুরো এলাকা স্ক্যান করেছেন, অন্য কোনও বিস্ফোরক সামগ্রী রয়েছে কিনা তা জানার জন্য। তদন্তকারীরা এই বিস্ফোরণকে ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলে মনে করছেন।

ঊর্ধ্বতন অফিসিয়ালরা জানিয়েছেন, ‘এনএসজি, এনআইএ এবং দিল্লি পুলিশ সকাল থেকেই গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। উৎসবের মরসুম থাকায় দিল্লি পুলিশ সর্বদাই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটিকে বিস্ফোরক আইনের আওতায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিস (ডিএফএস) জানিয়েছে, সিআরপিএফ স্কুলের সীমানা প্রাচীরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি দমকলের গাড়ি পাঠানো হয়। ‘তবে যেহেতু কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি এবং কেউ আহত হয়নি, তাই আমাদের দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসে, বলে জানিয়েছেন ডিএফএস কর্মকর্তারা।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের ফরেনসিক দল এবং অপরাধ ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আশেপাশের এলাকা পরীক্ষা করেছে। আমরা নিকটবর্তী থানাগুলোতেও সতর্কতা জারি করেছি এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন বাজার এলাকায় পায়ে হেঁটে টহলও জোরদার করা হয়েছে। এটি আতশবাজির বিস্ফোরণও হতে পারে, তবে আমরা সব দিক থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ‘ বিস্ফোরণের কারণ জানার জন্য সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ৭:৪৭ মিনিটে পিসিআর কলে তাঁরা বিস্ফোরণের খবর পান। ‘প্রশান্ত বিহার থানার এসএইচও ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন যে স্কুলের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাছাকাছি একটি দোকান ও একটি গাড়ির জানালার কাঁচও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।