দেশের জন্য কালো দিন, সীতারামনের কড়া সমালোচনা সঙঘ অনুগামী শ্রমিক সংগঠনের

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। (File Photo: PIB)

ভারতে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের ফলে যে আর্থিক ধাক্কা লেগেছে তা থেকে দেশকে তুলে ধরার জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষে এই পদক্ষেপ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে চারদিন ধরে কী কী খাতে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু চতুর্থ দিনে সীতারামনের ঘোষণার সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙঘ অনুগামী শ্রমিক সংগঠন।

শনিবার চতুর্থ দফার আটটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে বেসরকারিকরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এই পদক্ষেপের ফলে আরও বেকারত্ব বাড়বে বলে অভিযোগ শ্রমিক সংগঠন, ভারতীয় মজদুর সঙেঘর।


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী চতুর্থ পর্যায়ের ঘোষণা ভারতের জন্য কালো দিন। প্রথম তিন দিনের বক্তব্য শোনার পর সাধারণ মানুষের মনে যা আশা দেখা গিয়েছিল, তা চতুর্থ দিনে এক ঝটকায় ভেঙে চুরমার হয়েছে।

চতুর্থ পর্যায়ের ঘোষণায় কয়লা, খনিজ সম্পদের খনন বেসরকারিকরণ, বিমানবন্দরের অপারশেন বিলগ্নীকরণ, প্রতিরক্ষায় বিদেশী লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার বেসকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা ও পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য দরজা খোলার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিজেশ উপাধায় বলেন, সরকার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, সামাজিক প্রতিনিধি ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে। তার কারণ তাদের নিজেদের চিন্তাভানাই স্বচ্ছ নয়। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানে আরও বেশি করে সেই কাজই করছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের মনে হচ্ছে বেসরকারিকরণ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বাইরে থেকে কোম্পানিগুলো এসে প্রচুর টাকা দেবে। কিন্তু তারা এটা বুঝছেনা, ধীরে ধীরে শ্রমিকদের হাত থেকে কাজ চলে যাচ্ছে। বাজার পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর মানুষের কাছেই সব ক্ষমতা থাকছে।

এই সিদ্ধান্তের খুব খারাপ প্রভাব মানুষের ওপর পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছেন এই শ্রমিক নেতা। ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেছেন, এর খারাপ প্রভাব সবার আগে পড়বে কর্মীদের ওপর। কারণ বেসরকারিকরণ হলেই সবার আগে চাকরি যাবে। কিন্তু সরকার কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।