হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন একদিক থেকে মিলিয়ে দিল দুই প্রতিপক্ষকে। একইসঙ্গে জয় ও পরাজয়ের স্বাদ পেল বিজেপি ও কংগ্রেস। হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক করল বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরে এনসি-কংগ্রেস জোট। হরিয়ানায় বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। কংগ্রেসের পক্ষে গিয়েছে ৩৭টি আসন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ২টি এবং অন্যান্যরা পেয়েছে ৩টি আসন।
হরিয়ানার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিজেপি। মহারাষ্ট্রের মতো বড় রাজ্যের নির্বাচনের আগে এতে বিশ্বাস বাড়বে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের। গতবার বিজেপি পেয়েছিল ৪০টি আসন। তার থেকে ৪টি আসন বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। অন্যদিকে গতবার ৩১টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার বাড়াতে পেরেছে ৭টি আসন। এদিকে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বসেছে আঞ্চলিক দলগুলির। দুষ্যন্ত চৌতালার জেজেপি গতবার বিশেষ ভূমিকা নিলেও এবার তারা একটিও আসন পায়নি। উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা দুষ্যন্ত নিজেও হেরেছেন বড় ব্যবধানে।
হরিয়ানায় বিজেপির জয়ে বড় ভূমিকা ছিল মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির। মাত্র ২০০ দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে তিনি জয় এনে দিয়েছেন দলকে। এই সাফল্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের দাবি, মানুষ কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভোটগণনার শুরুতে কংগ্রেস বেশ কিছুক্ষণ এগিয়ে থাকায় দিল্লির কংগ্রেস হেডকোয়ার্টারে হরিয়ানার জিলিপি বিতরণ শুরু হয়। উৎসবে মেতে ওঠা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা অকাল দিওয়ালি পালন করা শুরু করেন। সকলের হাতে দেখা যায় জিলিপি। তবে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ছবি বদলে যায়। গণনায় পরবর্তী রাউন্ডগুলিতে বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে যেতে থাকেন। এর জেরে কংগ্রেসের দপ্তরগুলির ছবি বদলাতে শুরু করে। জিলিপি হাতে ছবি এরপর দেখা যায় বিজেপির দপ্তরগুলিতে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোট গণনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলে। জয়রাম রমেশ বলেন, ‘গোটা দুপুর ধরে আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। কমপক্ষে তিনটি জেলায় এভিএম -এ কারচুপি হয়েছে। আমরা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।’ হরিয়ানার ফলাফল কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় কংগ্রেস। জয়রাম রমেশের কথায়, ‘একেবারেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অবাক করার মতো ঘটনা।’
ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর হরিয়ানাবাসীকে ধন্যবাদ জানান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজের উপর ভরসা রেখেছেন হরিয়ানার ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। রাজ্যের গরিব, কৃষক ও যুব সমাজের আশীর্বাদের উপর আমার ভরসা ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।’