• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

মহারাষ্ট্রে এনডিএ-তে ভাঙ্গনের ইঙ্গিত, অজিত পাওয়ারকে কালো পতাকা দেখালো বিজেপি 

লোকসভা ভোটের পরে মহারাষ্ট্রের শাসকজোট ‘মহাদ্যুতি’র অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এবার সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সংঘাত প্রকাশ্যে এল। রবিবার পুণের জুন্নার এলাকায় অজিতের ‘জন সম্মান যাত্রা’র সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার জেরে সোমবার বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন এনসিপি মুখপাত্র

লোকসভা ভোটের পরে মহারাষ্ট্রের শাসকজোট ‘মহাদ্যুতি’র অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এবার সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সংঘাত প্রকাশ্যে এল। রবিবার পুণের জুন্নার এলাকায় অজিতের ‘জন সম্মান যাত্রা’র সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার জেরে সোমবার বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন এনসিপি মুখপাত্র অমল মিতকারি। জুন্নার এলাকায় নারায়ণগাওঁয়ে অজিতের কর্মসূচির সময় বিজেপির ওই বিক্ষোভে বিজেপি শিবিরের জেলা স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ  এনসিপির। বিক্ষোভকারীদের হাতে কালো পতাকার পাশাপাশি ছিল বিজেপির পতাকাও। 
মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপি সাতটি, দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত) গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ন’টি ও একটি আসন। পাঁচ বছর আগের ফল থেকে বেশ কিছু আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট। এই পরিস্থিতিতে আরএসএসের মুখপত্রের দাবি, অহেতুক রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে গিয়ে দল ভাঙানো মহারাষ্ট্রে বিজেপির ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়েছে। সে রাজ্যে বিজেপি-শিবসেনা সরকারের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এনসিপি-তে ভাঙন ধরানো হয়েছিল। যার ফলে অজিত তাঁরা কাকা তথা এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএতে যোগ দেন।
সঙ্ঘের অভিযোগ, অজিতের এনডিএতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বিজেপির পুরনো কর্মীরা অসন্তুষ্ট  হন। কারণ, তাঁরা বরাবরই কংগ্রেসের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। অজিতের এনডিএতে যোগদানে ‘ব্র্যান্ড বিজেপি’ বাজারদরও নেমে যায়। এর পরেই দুই দলের টানাপোড়েন শুরু হয়। বস্তুত শাসকজোটের অন্তর্কলহের কারণেই গত দেড় দশকের প্রথা ভেঙে এ বার হরিয়ানার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আয়োজন করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ১৪৫। বিজেপির ১০‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌৩ এবং শিন্ডেসেনার ৩৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, বহুজন বিকাশ আঘাড়ীর ৩, প্রহার জনশক্তি পার্টির ২ এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জেএসএসের এক জন করে বিধায়ক এবং ১৪ নির্দলের সমর্থনও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের পাশে। এই পরিস্থিতিতে অজিতের ৪০ জন বিধায়ককে বাদ দিলেও গরিষ্ঠতা হারাবেন না শিন্ডে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বিধানসভা ভোটের আগে সঙ্ঘের পরামর্শ মেনে অজিত পাওয়ারকে সরানোর ব্যবস্থা করছে বিজেপি।