প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী সূর্যকান্তা ব্যাস ‘জিজি’, শোকের ছায়া ঘনিষ্ঠ মহলে

দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর বুধবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী সূর্যকান্তা ব্যাস। তিনি রাজস্থান বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে ৬ বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ৮৬ বছরের এই সদ্যপ্রয়াতা নেত্রীকে ভালোবেসে সবাই ‘জিজি’ (বড়ো দিদি) বলে ডাকত।

তাঁর ছেলে শিবকুমার ব্যাস জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তাঁকে মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসা চলাকালীনই বুধবার সকাল ৭:১৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকজ্ঞাপন করছেন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনীতিবিদরা। যোধপুর লোকসভার সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত জানিয়েছেন, ‘আমাদের বর্ষীয়ান নেত্রী, মাননীয়া শ্রীমতি সূর্যকান্তা ব্যাস জী-র প্রয়াণ যোধপুর অঞ্চলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। ‘জিজি’ এই অঞ্চল থেকে ৬ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। বর্ষীয়ান হওয়ায় তাঁকে সবাই খুব শ্রদ্ধা করত। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমি তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতি আমার মনে গাঁথা হয়ে থাকবে। আমি শোকস্তব্ধ। ভগবান শ্রী রাম তাঁর আত্মাকে আশ্রয় দিক। তাঁর পরিবার এবং সমর্থকরা সামলে ওঠার শক্তি পাক। ওঁ শান্তি!’’


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা দুঃখপ্রকাশ করে জানান, ‘সুরসাগর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী শ্রীমতি সূর্যকান্তা ব্যাস ‘জিজি’র চলে যাওয়ার মর্মান্তিক সংবাদ পেলাম। কিছুদিন আগেই তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তাঁর আশীর্বাদ ও পরামর্শ লাভ করবার সৌভাগ্যও হয় আমার। তিনি আমাকে বরাবর ভীষণ স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় জনতা পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। তাঁর আত্মা যাতে ঈশ্বরের পাদপদ্মে স্থান পায় এবং তাঁর শোকার্ত পরিবার যাতে এই প্রবল বেদনা সহ্য করার শক্তি পায়, ঈশ্বরের কাছে সেই কামনাই করি।’

সূর্যকান্তা ব্যাস ১৯৯০ সালে যোধপুর (পুরোনো শহর) বিধানসভা থেকে প্রথম ভোটে দাঁড়ান। তাঁর রাজনৈতিক জীবন একজন পৌর কাউন্সিলর হিসেবে শুরু হয়। তার পরে তিনি বিপুল ব্যবধানে ১৯৯০, ‘৯৩ এবং ২০০৩ সালের রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০০৮ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সুরসাগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান এবং বিধায়ক নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও সুরসাগর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান এবং জেতেন। যোধপুরে তাঁর আমলে নানা উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা হয়। বসুন্ধরা রাজে এবং ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াতের মুখ্যমন্ত্রিত্বেও তিনি অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন।