বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না হলও তাই। রবিবার নিউটাউনের ইসকন মন্দিরের গোশালায় দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। ইসকন প্রেসিডেন্ট প্রভু রাধারমণ দাসের সঙ্গে দেখা করে জয়প্রকাশ বলেন, রবি ও সোমবার বিজেপি বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে জেলায় জেলায় কর্মসূচি করবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হবে কলকাতায়। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সংসদ সুকান্ত মজুমদার। জয়প্রকাশ আরও জানিয়েছেন, দল ভাবনাচিন্তা করছে সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠানো যায় কি না এ ব্যাপারে নয়াদিল্লি-ঢাকা আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
ইসকন একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। রবিবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনেও ইসকনের সেবায়েতদের বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন থেকে বাংলাদেশের একাধিক জেলায় পুজো মণ্ডপ, মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে বরদাস্ত করবে না তাঁর সরকার।
এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, রাজনীতির ঊর্ধে উঠে ১৯ তারিখে কর্মসূচি হয়ে উঠতে চলেছে ‘আক্রান্ত হিন্দু’দের কর্মসূচি। যাঁদের প্রাণ কাদবে, তারাই ওই কর্মসূচিতে যাবেন। তবে মিছিল করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিকে যাবেন কি না তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসকনের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। এদিন রাধারমণ দাস বলেন, আমাদের প্রধামন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুক। কড়া বার্তা দেওয়া হোক ভারতের তরফে।