ভােট রাজনীতির চেহারা যে কতটা কদর্য হতে পারে, শেষ মুহুর্তে শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে ব্যবহার করে ভারতীয় জনতা পার্টি তা দেখিয়ে দিল- মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ঠিক এভাবেই পাল্টা আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, ‘কপিল গুজ্জ্বরের সঙ্গে আম আদমি পার্টির যদি কোনও যােগাযােগ থাকে, তাহলে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। তার অপরাধ যদি শাস্তিযােগ্য হয় ও শাস্তির মেয়াদ দু’বছর হলে, আমরা তাকে চার বছরের মেয়াদে জেলে পাঠাব’।
দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, শাহিন বাগে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত কপিল গুজ্জর আম আদমি পার্টি সদস্য। আগের বছর কপিল দলে যােগ দিয়েছিল। বিজেপি স্থানীয় পুলিশের দাবির ওপর ভিত্তি করে আম আদমি পার্টিকে নিশানা করেছে।
বিজেপি’কে একহাত নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আসল ঘটনা এটা নয়- ভােটের আটচল্লিশ ঘন্টা আগে ভারতীয় জনতা পার্টি দিল্লি পুলিশকে আপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে নােংরা রাজনীতি করছে। সকলে জানেন, ওরা কিভাবে ভােট রাজনীতি করে- ওদের হাতে কোনও টাটকা বিষয় নেই, যা নিয়ে ওরা কিছু বলতে পারে। শাহি বাগে গুলি চালনোর ঘটনায় আমাদের দিকে আঙুল তুলেছে– আমরা কি ক্ষমতায় রয়েছি এসব কারার জন্য? আমরা কি এসব করি? ওরা শেষমেষ কিছুতেই পেরে না উঠে, অমিত শাহ পুলিশকে ব্যবহার করে নােংরা ষড়যন্ত্র করছে। সারা দেশের মানুষ জানেন ওপর রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়’।
তিনি বলেন, ‘ধৃত কপিলের পরিবারের তরফে বলা হয়েছে আপের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও নেতার সঙ্গে যে কেউ একজন ছবি তুলতে পারে। আমি বলব, ওর কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিত। ওর যদি আপের সঙ্গে কোনও যােগাযােগ থাকে, তাহলে ওর কঠোরতম শাক্তি পাওয়া উচিত।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (অপরাধ দমন শাখা) রাজেশ দেও বলেছেন, ‘কপিল গুজ্জর ও তার বাবা চৌধুরী গাজে সিং আগের বছর দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে আম আদমি পার্টিতে যােগ দিয়েছিলেন। গুজ্জরের ফোন থেকে উদ্ধার করা একাধিক ছবিতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও অতসীর সঙ্গে তাদের ছবি রয়েছে। ওরা দু’জনে আপ সদস্য হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন’।
গুজ্জরের কাকা বলেছেন, ‘আমার ভাইপাের কোনও বন্ধু নেই যারা। আপের সঙ্গে জড়িত। আমি বুঝতে পারছি না কোথা থেকে ছবিগুলাে সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। আমার ভাই ২০০৮ সালে বিএসপি টিকিটে ভােটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে গেছে। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের পরিবারের কোনও যােগাযােগ নেই।