কর্নাটকে জনতা দল (সেকুলার) ও কংগ্রেসের জোট সরকার থেকে ইস্তফা দিলেন ২ বিধায়ক। বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির মধ্যে জোট সরকারের ভাঙন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ইস্তফা দিলেন জেডি (এস) ও কংগ্রেসের একজন করে বিধায়ক। সংকটের মধ্যে আরও ৫ জন বিধায়ক দল ছাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা সিদ্দারামাইয়া দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
সােমবার কর্নাটক বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই অধ্যক্ষ কে আর রামেশ কুমারের হাতে প্রথম ইস্তফাপত্র পত্র জমা দেন কংগ্রেসের বিধায়ক আনন্দ সিং। এর কয়েক ঘন্টার পর জেডি (এস) বিধায়ক রমেশ জারকিহােলি ইস্তফাপত্র অধ্যক্ষের হাতে তুলে দেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যে জল্পনা ছড়িয়েছে আরও ৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দিতে চলেছেন। যদিও যে ৫ বিধায়কের দল ছাড়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে তাঁদের নাম এখনও জানা যায়নি।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইস্তফা দিয়েছেন ২ বিধায়কের মধ্যে যে ৫ বিধায়কের পদত্যাগ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাঁরা বিজেপিতে যােগ দিতে চলেছেন।
জোটের ভাঙন রুখতে তৎপরতা শুরু হয়েছে সরকারের দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা সিদ্দারামাইয়া নিজের বাড়িতেই দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, জেডি (এস)-এর শীর্ষ নেতারা দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যােগ দিতে আমেরিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী। মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবর্তনের খবর পয়েছি, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি’।
কর্নাটকে রাজনৈতিক ডামাডােলের মধ্যে বিজেপি ধীরে চলার নীতি নিয়েছে। কর্নাটকের বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘর গােছাবার কাজ করছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ঘােড়া কেনাবেচার অভিযােগ তুলেছে কংগ্রেস ও জেডি (এস)। জোট সরকারের অভিযােগ, বিজেপির ‘লােটাস-৩’ শুরু করেছে ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। কংগ্রেস ও জেডি (এস) জোটের মিলিত বিধায়ক সংখ্যা ১১৭।
তারমধ্যে ২ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা দিতে পারেন আরও ৫ জন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে জোট সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তখন সরকার গঠনে দাবি জানাতে পারে বিজেপি।
বিরােধীদের হাতে রয়েছে ১০৪ জন বিধায়ক। আরও ৭ জন বিধায়ক দলে যােগ দিলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা গিয়ে দাড়াবে ১১১। আরও ২ জন বিধায়ক জোগার করলে বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছোঁবে। তাহলে দক্ষিণের এই রাজ্যটিও হাত ছাড়া হতে পারে কংগ্রেসের। সেই কারণে কর্নাটকের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলই।