• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মন্ত্রীসভা গঠনে তৎপরতা বিজেপির অন্দরমহলে

নির্বাচন যুদ্ধ শেষ।গদিতে বসার জন্য তােড়জোড় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের।

রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে মোদি (Photo: Twitter/@rashtrapatibhvn)

নির্বাচন যুদ্ধ শেষ।গদিতে বসার জন্য তােড়জোড় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের।তারই প্রাকপ্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।বিশেষ সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার গঠনগত আলােচনা সহ শপথের দিন নিয়েও আলােচনা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র,অর্থ,প্রতিরক্ষা ও বিদেশ এই চারটি মন্ত্রক যেকোনও সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।কার-কার হাতে যাবে এই সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সে নিয়ে ইতিমধ্যে আলােচনা তুঙ্গে রাজনৈতিক শিবিরের অন্দরে।বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলে খবর অমিত শাহকে সংগঠনের দায়িত্বের পাশে মন্ত্রিত্বে আনা হতে পারে।বেশ কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন।এবার তাঁকে অব্যহতি দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।তাঁকে নতুন মন্ত্রিসভা এবং মন্ত্রিত্ব থেকে বাইরে  রাখার পরিকল্পনা রয়েছে দলের।বাংলায় অভাবনীয় জয়ের কারণে এখান থেকে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিকে সংসদে জায়গা দেওয়া হবে  বলেও শোনা যাচ্ছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সপ্তদশ লােকসভা গঠনের প্রক্রিয়া পুরদস্তুর শুরু করে দিলেন মােদি-শাহ জুটি।এক মুহুর্ত সময় নষ্ট করতে চাইছে না দল।সংসদীয় রীতি মেনে সব মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছেন মােদিও।
পদত্যাগপত্র তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন।পদত্যাগ পত্রের সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপতিকে যােড়শ লােকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ লােকসভা ভেঙে দেওয়ার পরই নবনির্বাচিত সাংসদদের নাম রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হবে।সপ্তদশ লােকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে তারপরই।প্রধানমন্ত্রীর শপথের দিনও জানানাে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সূত্রের খবর,সংসদে প্রােটেম স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে বরেলি থেকে জয়ী প্রার্থী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার।নবনির্বাচিত সাংসদদের তিনি শপথবাক্য পাঠ করাবেন।সপ্তদশ  লােকসভায় অধ্যক্ষ কে হবেন এখনও জানা যায়নি।গতবারের সাংসদ সুমিত্রা মহাজনকে বিজেপি এবার নির্বাচনে টিকিট দেয়নি।

শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে আলােচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে।

২০১৪ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের  আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল মােদির শপথ অনুষ্ঠানে।২০১৯-এ মােদির শপথে কারা আসবেন তার একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে।সেই মতাে আমন্ত্রণ জানানাের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে এনডিএ জোট।কোনও দ্বিমত নেই প্রধানমন্ত্রীর পদে নরেন্দ্র মােদিই বসবেন। নির্বাচনী প্রচারে মােদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরেছিল বিজেপি।তবে এখন প্রশ্ন রইল , নতুন মন্ত্রিসভায় নতুনদের সুযােগ বেশি দেওয়া হবে,না পুরনােদের উপরই আস্থা রাখা হবে। তবে দলের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  যেতে পারে অমিত শাহের হাতে।অরুণ জেটলির অসুস্থতার জন্য অস্থায়ীভাবে বেশ কয়েকবার।অর্থমন্ত্রক সামলেছেন পীযূষ গােয়েল।সেক্ষেত্রে  মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভাব সাংসদ পীযুষ গােয়েলের হাতে যেতে পারে অর্থমন্ত্রক।

 বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতাে গুরুত্বপূর্ণ পদ দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন দুই মহিলা।দুজনের কাজেই সন্তুষ্ট গ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।সেক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বে সুষমা স্বরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকে নির্মলা সীতারমণকে রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা আমেথিতে রাহুল গান্ধির পরাজয়।চার দশক ধরে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং গান্ধি পরিবারের দুর্গে ফাটল ধরিয়ে  মােদির মনজয় করেছেন স্মৃতি ইরানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।পুরস্কার হিসাবে স্মৃতিকে বস্ত্র থেকে ওজনদার কোনও মন্ত্রকে বসানাে হতে পারে কে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।