• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 October, 2024

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেও প্রত্যাহার করল ‍বিজেপি, ৪৪ আসনে নাম ঘোষণার পর আ‍বার ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ

রীতিমতো ঘটা করে সোমবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নিয়ে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

রীতিমতো ঘটা করে সোমবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নিয়ে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির মতো দলে এই ধরনের ঘটনা খুবই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় পুরনো তালিকা প্রত্যাহার করে নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ত‍বে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৯০ আসনের বিধানসভা ভোটে মোট ৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। যেখানে দেখা যায় ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জন মুসলিমকে টিকিট দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ৮ জনকে প্রার্থী করা হয় জম্মুর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রগুলিতে। এদিন প্রথমে প্রথম দফার ভোটের ১৫ জন, দ্বিতীয় দফার ১০ এবং তৃতীয় দফার ১৯ জন প্রার্থীর নাম তালিকায় ঘোষণা করা হয় । কয়েক ঘণ্টা পর ফের নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে দল। তাতে প্রথম দফার ভোটের জন্য তালিকায় মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে।

 

সোম‍বার প্রথমে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে তিন বিশিষ্ট নেতার নাম বাদ পড়েছিল। তাঁরা হলেন জম্মু-কাশ্মীর বিজেপি সভাপতি রবিন্দর রায়না, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং ও কবিন্দর গুপ্তা। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানার । রানা সম্প্রতি ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সোপিয়ান কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী জাভেদ আহমদ কাদরি, অনন্তনাগে প্রার্থী করা হয়েছে সৈয়দ ওয়াজাহাতকে, অনন্তনাগ পশ্চিমে প্রার্থী মহম্মদ রফিক ওয়ানি।

 

২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা লোপ পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীর দু’ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে সেখানে। সেদিকে নজর রেখে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে র‍বি‍বার দিল্লিতে বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। দুজন কাশ্মীরি পণ্ডিত, ১৪ জন মুসলিমকে প্রার্থী করা হয়েছিল। প্রার্থী করা হয়েছিল কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিডিপি এবং প্যান্থার্স পার্টি থেকে দলছুটদের । সোম‍বার সকালেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি এই তালিকা প্রকাশ করেছিল।

 

জম্মু ও কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ২৫টি আসনে জয় পায় বিজেপি, ২৮টি আসন জেতে পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স পায় ১৫টি এবং কংগ্রেস জেতে ১২টি আসন। বিজেপি ও পিডিপি জোট বেঁধে সরকার গঠন করে। এবারের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই জোট ঘোষণা করেছে এনসি ও কংগ্রেস। যদিও এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ৯০ আসনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিডিপি।

 

এ বারের ‍বিধানসভা ভোটে অন্যতম মুখ্য বিষয় হতে চলেছে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি। উপত্যকার দুই প্রধান আঞ্চলিক দল— ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস্‌ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, উভয়ই এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে।প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। পাশাপাশি , জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও আশ্বস্ত করেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।