ভোটে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ বিজেপির প্রার্থীর

ছবি: এ এন আই

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। রবিবার বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মা অভিযোগ করেছেন যে, আম আদমি পার্টির (আপ)-এর জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোটের বিনিময়ে হাজার হাজার বেতনভোগী কর্মীদের টাকা বিলি করছেন। নতুন দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ভার্মা, বস্তিবাসীদের টাকা বিতরণের জন্য আপ-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, দলের কর্মীরা ক্যালেন্ডারে মোড়ানো ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছে বস্তিবাসীদের।

তিনি বলেন, আম আদমি পার্টির মানুষ বস্তিবাসীদের মধ্যে ক্যালেন্ডারে মোড়ানো ৫০০ টাকার নোট বিতরণ করছেন। এই ধরনের ভিডিও একদিন আগে গান্ধী শিবির থেকে উঠে এসেছিল। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ একটি এনসিআর (নন-কগনিজেবল রিপোর্ট) তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ডাকা হয়েছে এবং তাঁরা আপ-এর হয়ে কাজ করার জন্য দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ৮০০ টাকা করে পাচ্ছেন। তাঁরা বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসেনি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন ভোটারদের বিলি করার জন্য। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি প্রার্থী।

ওই বিজেপি নেতা কেজরিওয়ালের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। ভার্মা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনীতিকে নিচু স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ভার্মা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ উভয়ের কাছেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই চক্রটির মুখোশ খুলে দেওয়া ও নির্মূল করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং পুরো চক্রটি ফাঁস করা উচিত।’ যদিও আপ এখনও এই অভিযোগের কোনও জবাব দেয়নি।


প্রসঙ্গত আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির দিল্লি নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, আপ ততই টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে দাঁতে দাঁত কামড়ে পড়ে আছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচেনর ভোট গণনা। দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের জন্য মোট ৬৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পরপর ১৫ বছর দিল্লি শাসন করা কংগ্রেস গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন জিততে ব্যর্থ হয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এর বিপরীতে, ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে আপ যথাক্রমে ৬৭ এবং ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখে। যেখানে বিজেপি এই দুই নির্বাচনে যথাক্রমে ৩টি এবং ৮টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল।