পাখির চোখ বিধানসভা ভোট, ৪ রাজ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগ বিজেপির

KOLKATA, WEST BENGAL, INDIA - 2020/03/01: Supporters holding BJP (Bharatiya Janata Party's) flags during the CAA (citizenship amendment act) Support rally in kolkata. (Photo by Avishek Das/SOPA Images/LightRocket via Getty Images)

দিল্লি, ১৭ জুন – লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলেনি। সরকার গঠন করলেও শরিক দলগুলোর চাপে তৃতীবারের মোদি সরকার। তবে এবার আগেভাগেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। মাস চারেক দেরি থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ফল দেখে কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হল নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব ও অশ্বিনী বৈষ্ণোকে।
আগামী অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব। ডিসেম্বরে হবে ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তাঁর সহকারী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এরই পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে।
 
সোমবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিল বিজেপি। লোকসভা ভোটের পরে বিধানসভা ভোটে লড়াই আরও শক্ত হতে হতে চলেছে, এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে। কারণ আগেই উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ দাবি করেছে, সে রাজ্যে সরকারে পরিবর্তন আসন্ন। ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ে বিজেপি, শিন্ডে সেনা এবং অজিত পাওয়ারপন্থী এনসিপি জোট সরকারের পতন ঘটাবে শনিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেছে তিন দল।
 
লোকসভা ভোটে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএকে। তবুও বিপর্যয় ঠেকানো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে মারাঠাভূমে নতুন সহযোগী দলের খোঁজ করা দুই পর্যবেক্ষকের অন্যতম দায়িত্ব বলে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে।
 
একই ভাবে গত বছরের জুলাই মাসে অজিতের নেতৃত্বে অধিকাংশ এনসিপি বিধায়ক দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদের সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ-তে শামিল হয়। অজিত গোষ্ঠীকেও ‘আসল এনসিপি’র মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৯ এবং বিধানসভা ভোটে হরিয়ানার বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছিল। অন্য দিকে, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মেয়াদ শেষ হলেও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে সেখানে ভোট হয়নি।
 
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং শিবসেনা একসঙ্গে লড়লেও ভোটের তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়ে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। কিন্তু ২০২২ সালের জুনে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধবের নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে বিজেপি সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন। পরে নির্বাচন কমিশন শিন্ডে গোষ্ঠীকেই ‘আসল শিবসেনা’ হিসাবে চিহ্নিত করে শিবসেনার নাম ও প্রতীক দেয়।