ত্রিপুরায় সিপিএম’কে সরিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে এখন বিজেপির সরকার। কিন্তু সরকার গড়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব’কে নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটছেই না। গত রবিবার বিজেপি’র অভ্যন্তরে এই নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়। এরপর মঙ্গলবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের কথা ঘােষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে বিপ্লব দেব সাফ জানিয়ে দেন, আগামীতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি ছেড়ে চলে যাবেন, তা নির্ভর করবে জনগণের ওপর। সেকারণে আগরতলার প্রাণকেন্দ্রে আস্তাবল ময়দানে রবিবার দুটোয় ত্রিপুরাবাসীকে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সেখানেই তিনি জনমত নেবেন। তার ওপর ভিত্তি করেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকবেন না চলে যাবেন তা নির্ধারণ করবেন।
উল্লেখ্য, রবিবার ত্রিপুরার স্টেট গেস্ট হাউসে সর্বভারতীয় বিজেপি’র তরফে পর্যবেক্ষক বিনােদ সােনকর যখন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, সেই সময় বাইরে বিজেপি’র অন্য একটি গােষ্ঠীর লােকজন স্লোগান তুলেছিল, ‘বিপ্লব হঠাও, ত্রিপুরা বাঁচাও’।
সেদিন বিপ্লব দেব প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, গেস্ট হাউসের বাইরে কয়েকজন লোক যা করছে তা আমার খুব খারাপ লেগেছে। ত্রিপুরার মানুষ আমাকে অনেক ভালােবাসা দিয়েছে। দু-একজন কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না।
এরপর এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে ভালাে লাগলে বলুন, না লাগলেও বলুন। রবিবার আস্তাবল ময়দানে আসুন। সেখানে মানুষ যা রায় দেবে, তা আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দেব।
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোট রয়েছে। তার আগে ২০২০-র ডিসেম্বরে বিপ্লবের এই গণভােট নিয়ে সরগরম এই ছােট্ট রাজ্যটির রাজনীতি। এর আগে বিপ্লবের বিরুদ্ধে ৬ জন বিধায়ক বিদ্রোহ করে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পর্যবেক্ষক বিনােদ সোনকরকে পাঠিয়েছে দিল্লি বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এখন দেখার পরিস্থিতি কোনও দিকে মােড় নেয়।