ফের বিপাকে আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর এবার আমেরিকার আদালত ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বড়সড় প্রতারণার অভিযোগ আনল। ভারতের সৌর প্রকল্পের জন্য ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় শিল্পপতির বিরুদ্ধে।স একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, গৌতম এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
গৌতম এবং সাগর আদানি ছাড়াও ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’ এবং ‘আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেড’কেও এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেছে মার্কিন আদালত। ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছে আদানি গোষ্ঠী। আর তাই ভারত সরকারের আধিকারিকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আদানি গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শীঘ্রই সংস্থার পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি আরও অভিযোগ রয়েছে গৌতম আদানির নামে। বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্কের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সেই তথ্য বিশ্বাস করেই মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আদানিদের সংস্থায় প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করেছে বলে খবর।
গৌতম-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন – ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডে’র সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্ত, রুপেশ আগরওয়াল, সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল এবং দীপক মলহোত্র।
আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বন্দর ও বিমানবন্দর থেকে পাওয়ার সেক্টর পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গ নামক একটি কোম্পানি আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল। গৌতম আদানির কোম্পানি অবশ্য সেই দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু সেই খবর বেরিয়ে আসার পর আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ার ব্যাপকভাবে পড়ে যায়।
গৌতম আদানিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, এমনটাই দাবি অনেকের। দেশের বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, রাজনৈতিক সংযোগের কারণেই আদানি লাভবান হচ্ছেন। যদিও আদানি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।