• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

রাজভবনে আটকে বিল,  রাজ্যের করা মামলায় বোসের সচিবকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট 

দিল্লি, ২৬ জুলাই – রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের ৮ টি বিলে সম্মতি আটকে রেখেছেন, এই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দিল রাজ্যপালের সচিবকে । শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, কেরল সরকারও এই একই অভিযোগে আর্জি জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। দুই সরকারেরই আবেদন শুনে এদিন কেন্দ্র ও

দিল্লি, ২৬ জুলাই – রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের ৮ টি বিলে সম্মতি আটকে রেখেছেন, এই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দিল রাজ্যপালের সচিবকে । শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, কেরল সরকারও এই একই অভিযোগে আর্জি জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। দুই সরকারেরই আবেদন শুনে এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যপালদের সচিবদের নোটিস দিয়েছে আদালত।

রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে রাজ্যপালের সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় সরাসরি সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার রাজভবনকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট । নোটিস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা, উভয় সরকারেরই দাবি, কোনও কারণ না দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালরা বিল আটকে রেখেছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং দুই রাজ্যপালের সচিবকে নোটিস দিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে রাজ্যপাল সই করলে সেটা আইনে পরিণত হয়। রাজ্যপালের কোনও বিলে আপত্তি থাকলে সেই বিল তিনি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন, কিংবা সংশোধনের সুপারিশ করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কোনওটিই করছেন না বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকার বলছে, বিল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজ্যপাল সেগুলিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখছেন, যা সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। 

এদিন আদালতে কেরলের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কেকে বেণুগোপাল। অন্যদিকে বাংলার হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং জয়দীপ গুপ্তা। সিংভি তামিলনাড়ু সরকারের একই ধরনের আবেদনের দৃষ্টান্ত তুলে সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সিংভি বলেন, সেক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করায় রাজ্যপাল সব বিল ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সিংভি।সিংভির যুক্তিকে শক্তিশালী করতে বেণুগোপাল বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপে রাজ্যের বিল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার অর্থ রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করতে চাইছেন রাজ্যপাল।

দুই রাজ্যেরই অভিযোগ, সরকারের পাঠানো বিলে সই না করে রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঠানো মোট আটটি ফাইলে রাজ্যপাল সই করেননি। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করে বিষয়টি দ্রুত শুনানির আর্জি জানা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০২২ সালের ১৩ জুলাই প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ সালের ১৫ জুন প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ পশু এবং মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ সালের ১৪ জুন প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বেসরকার বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ সালের ১৭ জুন প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল, ২০২২ সালের ২১ জুন প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ সালের ২৩ জুন প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল, ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ নগর পরিকল্পনা এবং নগরোন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ সালের ৪ অগস্ট প্রণীত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল।