সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই বিহার থেকে কংগ্রেস বিধায়করা তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে গিয়েছেন। বিমানবন্দর থেকে বাসে চাপিয়ে রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। বিহার কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অখিলেশ সিংহ নিশ্চিত করেছেন যে, দলের ১৬ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে গিয়েছেন। বাকিরাও শীঘ্রই যাবেন। জানা গিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তাঁরা। এরপর তাঁদের পাটনায় ফিরিয়ে আনা হবে।
বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ঘটনা অতীতে কয়েকটি রাজ্যে ঘটেছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র অভিযোগ উঠেছিল। আস্থা ভোটের আগে কংগ্রেস কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, কংগ্রেসের কিছু বিধায়ক এখনও পর্যন্ত জেডিইউ-এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন এই তথ্য জানার পরই সতর্ক হয়ে যায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র এই আশঙ্কার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন বিহারের প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহন প্রকাশ। তিনি পাল্টা জেডিইউ-কে নিশানা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জেডিইউ বিধায়করাই চাপে রয়েছেন। তাই এই সব বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।’’ তেলেঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডির সরকারকে শুভেচ্ছা জানাতেই এই সফর বলে দাবি কংগ্রেসের। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদে আসার আগে দলীয় বিধায়করা দিল্লিতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খ়়ড়্গের সঙ্গে দেখা করেছেন।
কংগ্রেস বিধায়করা যাতে কোনওমতে বিজেপি-জেডিইউ-কে সমর্থন না করে ফেলে সেজন্য সদা সতর্ক কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত , বিহারে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৯ জন। এর মধ্যে ১৬ জন হায়দরাবাদ পৌঁছেছেন।