দেশের চাকরির বাজারে বড়সড় সঙ্কট আসতে চলেছে। আগামী দিনে যুব সমাজের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারবে না ভারত সরকার। এমনই সতর্কবাণী শোনা গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির কাছ থেকে। করোনা আবহে বেকারত্বের সমস্যা হু হু করে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই সেদিকে।
রাহুলের দাবি, করোনা নিয়ে তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণী আজ পরিণত হয়েছে বাস্তবে। বেকার সমস্যা নিয়ে আজ তিনি যা বলছেন, সেদিন আর বেশি দূরে নেই তাঁর এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে। আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে দেশে চাকরির বাজারে বড়সড় সঙ্কট আসছে।
উল্লেখ্য, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী লকডাউনের এই চার মাসে শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রেই কাজ হারিয়েছেন ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ। শুধু জুলাই মাসে কাজ হারিয়েছেন ৫০ লক্ষ মানুষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। দেশের বেকারত্বের এই ছবি নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রথম থেকেই সরব।
বৃহস্পতিবার তিনি সরকারকে ফের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগামী দিনে দেশে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। ভারত সরকার যুব সমাজকে চাকরি দিতে পারবে না। এর আগে যখন আমি বলেছিলাম, করোনায় ভারত বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের একাংশ আমার বক্তব্য নিয়ে রসিকতা করেছিল। এখন আবার আমি বলছি, ভারত সরকার যুব সমাজকে চাকরি দিতে পারবে না। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে ৬-৭ মাস অপেক্ষা করুন।’
ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন রাহুল গান্ধি কেন্দ্রীয় সরারকে। যদিও সেই সময় রাহুলের এই মন্তব্যকে কেন্দ্রীয় সরকান্ত্রে নেতা মন্ত্রীরা খুব একটা আমল দিতে চাননি। সেই সময় রাহুলের দাবি ছিল, করোনা ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় বিপদ বয়ে আনছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সেই দাবি যে কথার কথা ছিল না তা আজকের পরিস্থিতি দেখলে সহজেই বোঝা যায়।