ভারত বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ল বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে। ১৪ ঘন্টার এই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিশেষত বিহারে। প্রতিবেশী রাজ্যের দ্বারভাঙা ও আরাতে ট্রেন আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। জাহানাবাদ, সহরসা ও পূর্ণিয়া জেলায় একাধিক জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এনএসিডিএওআর-এর দাবি, সুপ্রিম কোর্টকে এই রায় প্রত্যাহার করতে হবে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার রায়ে জানানো হয়, তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদের সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়া হবে। তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা জানায় দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে ছ’জনই কোটার মধ্যে কোটার পক্ষে রায় দেন। ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থার অভিযোগ, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মধ্যে এই শ্রেণি বিভাজন জনজাতি ও উপজাতিদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে। সরকার যেন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় গ্রহণ না করে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম সেনা-সহ একাধিক দল এই বনধকে সমর্থন করে ।
তারই প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ভারত বনধ শুরু হয়। তার জেরেই এলাকায় এলাকায় মিছিল ও জমায়েত করেছেন বহু মানুষ। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল হয়েছে পুলিশ। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম সেনা সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বনধের কারণে রাজস্থানের জয়পুর, ভরতপুর, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র-সহ একাধিক রাজ্যে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল কলেজ। একাধিক শহরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এদিকে বিহারে রিজার্ভেশন বাঁচাও সংঘর্ষ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।রাস্তায় মিছিল লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ চলাকালীন ভুল করে জেলা আধিকারিককে লাঠির ঘা মেরে বসেন পুলিশ। ঘটনা ঘটে বিহারের পাটনায়।
এনএসিডিএওআর জনজাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের সংরক্ষণের জন্য সংসদে নতুন আইন আনার দাবি তুলেছে। সরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী কতজন রয়েছেন তার জাতিভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা এবং বিভিন্ন দপ্তরে সংরক্ষিত শূন্যপদ পূরণের দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।