• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দিল্লি নিয়ে ‘উস্কানিমূলক’ পােস্ট, অসমে গ্রেফতার বাঙালি অধ্যাপক

দিল্লির হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গ্রেফতার হলেন অসমের গুরুচরণ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অতিথি শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্ত।

সৌরদীপ সেনগুপ্ত (Photo: Facebook | Souradeep Sengupta)

দিল্লির হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য সােশ্যাল মিডিয়ায় পােস্ট করে গ্রেফতার হলেন অসমের গুরুচরণ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অতিথি শিক্ষক সৌরদীপ সেনগুপ্ত। শুক্রবার রাতে পুলিশ প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী সৌরদীপকে তাঁর শিলচরের ইটখােলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। 

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি’র উদ্দেশে দিল্লির হিংসা নিয়ে ফেসবুকে একটি পােস্ট করেন সৌরদীপ। তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়। ‘ভয়েস অব বরাক ভ্যালি’ নামে একটি ফেসবুক পেজের সদস্যরা সৌরদীপের ওই মন্তব্যের তীব্র বিরােধিতা করেন।

ওই পােস্টের মাধ্যমে একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযােগ তােলে বিজেপি। সৌরদীপের ওই পোস্ট দেখে তার কলেজের পড়ুয়াদের একাংশও প্রতিবাদ জানান। তারা ক্লাস বয়কট করেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও দাবি করার পাশাপাশি সৌরদীপের পদত্যাগেরও দাবি জানান পড়ুয়ারা।

সৌরদীপ প্রেসিডেন্সি থেকে পদর্থবিদ্যায় স্নাতক হন। এরপর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বিষয়েই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। এখন তিনি গুরুচরণ কলেজে অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়ান। শুক্রবার দুপুরে ওই মন্তব্যের জন্য ফেসবুকে ক্ষমা চান সৌরদীপ।

সেখানে তিনি লেখেন, কোনও জাতিকে অপমান করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমার মন্তব্যের জেরে যদি কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়ে থাকেন, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

ক্ষমা চাওয়ার পরও ওই দিন রাতেই সৌরদীপকে গ্রেফতার করে শিলচর সদর থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিল্পি ২৫৯, ১৫৩, ৫০৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরদীপের বাড়িতে এসে কেউ বা কারা তার বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। সেই অভিযােগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে, সৌরদীপের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ বলেন, উত্তেজক মন্তব্য করা হয়েছে। শুধু গ্রেফতার নয়, সৌরদীপের শাস্তি হওয়া উচিত।